ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

লামার গজালিয়ায় ইয়াবা-গাঁজাসহ আটক ৩

১৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

বান্দরবানের লামার গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘেরাও করে ইয়াবা ও গাঁজা সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী ও ২ মাদকসেবীকে আটক করেছে। শুক্রবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১০টায় ইউনিয়নের মোহাম্মদ পাড়াস্থ মো. কাসেম এর বাড়ি এই অভিযান চালানো হয়।

এসময় মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ পাড়ার মৃত আবু বক্কর হাজীর ছেলে মো. কাসেম (৩৬), একই পাড়ার মাদকসেবী মো. বাবুল এর ছেলে লাবলু (২৫) ও নাপিত ঝিরির মো. ইউনুচ এর ছেলে মো. সুমন (১৮) কে আটক করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, তাদের কাছ থেকে ৬ পিস ইয়াবা ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। আটককৃতরা গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদ এর ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

মাদক ব্যবসায়ী কাসেম এর পার্শ্ববর্তী জনৈক বাসিন্দা জানায়, কাসেম দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে আসছে। লাবলু ও সুমন তার মাদক বিক্রিতে সহায়তা করে। শুক্রবার (৮ জুন) রাত ১০ টায় কাসেমের বাড়িতে নতুন ইয়াবার চালান এসেছে এমন খবর পেয়ে গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদ সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালায়। এসময় ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় ৬ পিস ইয়াবা ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ মো. কাসেম ও মাদকসেবী লাবলু, সুমনকে কে আটক করা হয়। আটক করে নিয়ে যাওয়া সময় কাসেম পালিয়ে যায় এবং পুণরায় বাড়িতে ফিরে এসে আমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

বিষয়টি গজালিয়া পুলিশকে জানালে পুলিশ আবার এসে তাকে আটক করে। পুণরায় কাসেম জানালা ভেঙ্গে পালাতে চেষ্টা করে। তখন বাড়ির পিছনে তার পকেট হতে আরো ৭০ পিস ইয়াবা পড়ে যায়। রাতের আধারে সেই ইয়াবা গুলো পুলিশ দেখতে পায়নি। সকালে কাসেম এর ১য় স্ত্রী খাদিজা বেগম সে ৭০ পিস ইয়াবা পায়। ৭০ পিস ইয়াবার বিষয়ে সকাল থেকে কাসেম এর দুই স্ত্রী খাদিজা ও হাফিজা ঝগড়া করছে। কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আটকের ১৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা বা লামা থানাকে অবহিত করেনি গজালিয়া ফাঁড়ির পুলিশ।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ৬ পিস ইয়াবা ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ ৩ জনকে আটক করার বিষয়টি আমি জানিনা। দ্রুত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

পাঠকের মতামত: