ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্রগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুকিঁপূ্র্ণ টেক-বাঁক এখন মরণ ফাঁদ!

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

চট্রগ্রাম -ককসবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে টেকবাঁক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে। কোথাও ডানে মোড়,আঁকা বাঁকা রাস্তা বা সতর্কীকরণ চিহ্ন না থাকায় প্রায়শ এসব এলাকায় যানবাহন কোন না কোন ভাবেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ককসবাজার- চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় সড়কে ছোট বড় প্রায় অসংখ্য টেকবাঁক রয়েছে। তৎমধ্যে খরুলিয়া, বাংলাবাজার,রামু, পানিরছড়া,জোয়ারিয়ানালা,ঈদগাঁও বাসষ্টেশন, ফকিরা বাজার,নাপিতখালী,মেধাকচ্ছপিয়া, ডুলাহাজারা,মালুমঘাটসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। দুর থেকে এসব স্থানে টেক-বাঁকগুলো দেখা না যাওয়ার কারণে এ সকল টেক-বাঁকে যানবাহনের ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করছেন চালকরা। তাছাড়া মহাসড়কে যত্রতত্র বাঁকের পাশাপাশি অধিকাংশ হাটবাজার থাকায় এটি উভয়মুখী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, লিংরোড, খরুলিয়া,পানিরছড়া,কালিরছড়া,ঈদগাঁও, ফকিরা বাজার,নাপিতখালী বটতল,নতুন অফিস,খুটাখালী,ডুলাহাজারা,মালুমঘাটসহ আরো অনেক। এসব ষ্টেশন ও বাজারে নানা যানবাহন দাঁড় করানোর কারণে যানজটের কবলে পড়তে হয় দীর্ঘক্ষণ । এতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রকন্যা ককসবাজারে পর্যটকদেরকে অযথা সময় মহাসড়কের উপর নানা ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হচ্ছে নিদিষ্ট স্থানে পৌঁছতে। দেখা যায়, উল্লেখিত টেকবাঁকে নানা সময়ে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে। তৎমধ্যে বেশির ভাগ দূর্ঘটনা টেক বা বাঁকে অতিক্রম করার সময়। এদিকে চট্টগ্রাম ককসবাজার মহাসড়কের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। পর্যটন শহর ককসবাজারে নানা স্থরের মানুষের যাতায়াত বেড়েছে দ্বিগুণ পরিসরে। ব্যস্ত মহাসড়ক হিসাবে পরিচিতি পেলে টেক-বাঁক ও ষ্টেশন ভিত্তিক বাজার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অংশের কোনভাবেই কাজ করা হচ্ছেনা এখনো। কয়েক যানবাহন চালকরা জানান, ককসবাজার সদরের ইসলামপুরের নাপিতখালী মোড়ের বাঁকটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুতগতিতে যানবাহন চালিয়ে আসলে সহজে গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়না। কজন পর্যটক জানান, চট্রগ্রাম – ককসবাজার মহাসড়কের কোথাও বাঁক-টেকে সতর্ক চিহৃ বসানো বা সাইনবোর্ড না থাকায় দূর্ঘটনা বেশি ভাগই ঘটে চলছে। খুটাখালীর প্রাক্তন ব্রাক শিক্ষা কর্মকতা মীর মোহাম্মদ নোমান আজকের ককসবাজারকে জানান, মহাসড়ক কিংবা গ্রামীন সড়কে টেকঁবাকের কারনে সাধারন মানুষজনের রাস্তা পারাপারে দারুন ভাবে ব্যাঘাত করছে। ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটে চলছে। এমনকি সড়কের পাশে গড়ে উঠা বাজার গুলোতে নিদিষ্ট পরিমান জায়গা খালি না রেখে ভ্রাম্যমান দোকানের পসরা বসার কারনে যানবাহন ও সর্বশ্রেনী পেশার লোকজনের ভোগান্তি দ্বিগুন আকারে বৃদ্বি পেয়ে থাকে।  সচেতন লোকজনের দাবী, আসন্ন ঈদের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যদি টেকবাঁকে সতর্কীকরণ চিহৃ বসায় তাহলে দূর্ঘটনা থেকে উভয়দিকের লোকজন একটু হলেও রক্ষা পাবে।

পাঠকের মতামত: