ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মহেশখালীতে চট্রগ্রামের গাড়ীচোর চক্র ও মলম পার্টির শীর্ষ ২ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

মোহাম্মদ জোনাইদ, মহেশখালী ::

মহেশখালীতে চট্রগ্রামের গাড়ীচোর চক্র ও মলম পার্টির শীর্ষ ২ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে । আটককৃতরা হলেন- আলমগীর , সে চট্রগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানার জোলদা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। অপরজন জামাল উদ্দিন, সে চট্রগ্রাম জেলার পটিয়া থানার থানা মহিরা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। ৬জুন বেলা ২টার সময় মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুণতলি বাজার এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে তাদের । এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশে তৈরী বন্দুক ৩রাউন্ড তাজাকাতুর্জ , মোখোশ, মলম এবং মলম মিশ্রিত বিস্কুট উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানার পুলিশ।

মহেশখালী থানার এএসআই সনজিব জানান, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এর নির্দেশে রমজানে উপজেলার আইনর্শংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে , হোয়ানক এলাকায় টহল রত অবস্থায় গুপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায় যে, হোয়ানক এলাকায় চট্রগ্রামের গাড়ী চোর চক্রের মলম বাহীনির ২সদস্য ঘুরাফেরা করছে। ওই গুপন সংবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হোয়ানক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রোকন উদ্দীন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরী আসে বিভিন্ন অজানা কাহীনি। বিগত ৪ বছর আগে পৌরসভা এলাকার ড্রাইভার মো:গিয়াস উদ্দিনকে মলম মিশ্রিত বিস্কুট খাইয়ে চকরিয়া-বদর খালী সড়ক খেকে দিনদুপুরে নতুন সিএনজি গাড়ীটি চিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রায় ৩লক্ষ টাকা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে উক্ত চক্রের হাত থেকে গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়। গত ২মাস আগে মো: শাহ আলম নামের অপর একজন টমটম চালক কে মলম লাগিয়ে ,মহেশখালীর শাপলাপুর থেকে টমটম গাড়ীটি চট্রগ্রামের সিএমপিতে নিয়ে বিক্রি করেদেয় বলে স্বীকার করে আটককৃতরা।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান- দীপের মানুষ খুবই শান্তশিষ্ট , চোরচক্রের লোকজন তাদের সাথে প্রথমে সুসম্পর্ক গড়েতুলে এবং সুযোগ বুজে মলম ব্যবহারের মাধ্যমে অচেতন করে গাড়ী গুলো মহেশখালী থেকে বিভিন্ন পথে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চোরী হওয়ার গাড়ীর মালিক বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে এবং অস্ত্র আইনে ও তাদের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। রমজানে মহেশখালীর আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহেশখালী থানা পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে । আশা করি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষ ঈদ উৎযাপন করতে পারবে।

পাঠকের মতামত: