ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রশিদ নগরে বিদ্যুৎ লাইন যাওয়ার খবরে জমি বিক্রির হিড়িক

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও-মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন ধলিরছড়া বিটের পূর্বে থলিয়া ঘোনা, অফিসের মোরা এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন যাওয়ার খবরে রিজার্ভ জমি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সরকারী রিজার্ভ জমি মহাসড়কের পূর্ব পাশের্^ সামাজিক বনায়নের বিশালাকার প্লট দখল করে বিক্রি ও ঝুঁপড়ি নির্মান করে যাাচ্ছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। এ নিয়ে অন্যান্য প্লটের উপকারভোগীদের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা ও জোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে সর্বমহল থেকে।সুত্রে জানা যায়, খাদেমর পাড়া এলাকার আমির হামজার পুত্র নুরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সরকারী রিজার্ভ জমি বিক্রি করে আসছে। এমনকি তার দখলে একটি সরকারী পরিত্যাক্ত ভবনও রয়েছে।

সূত্রে আরো জানা যায় ২০০৬ ও ২০০৭ সালের সামাজিক বনায়নের ৮টি প্লটের মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও স্থানীয় আবুল কালাম, সদর আজিম, মোস্তাক, হামিদ হোসেনসহ আরো ৪/৫ জন উপকারভোগী গোপনে প্লটগুলো বিক্রির পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঐ সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন স্থানে জমি বিক্রি করে রাতারাতি ঘরও নির্মাণ করে দিচ্ছে। পাহাড়ী অঞ্চলে বিদ্যুৎ লাইন যাওয়ার খবরে স্বল্প দামে তারা রিজার্ভ ভূমি বিক্রি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বনায়ন ও বনাঞ্চল থাকবে না বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। এদিকে উক্ত এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করতে গিয়ে আটক করে মোটা অংক নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা উচ্ছেদ পূর্বক রিজার্ভ ভূমি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ধলিরছড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালামের মুঠোফোনে রিং করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মামুন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অবগত ছিলেন না বলে জানান এবং খোঁজ খবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পাঠকের মতামত: