ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঈদবাজারও জমে ওঠছে চকরিয়ায়। ছবিটি পৌরশহর চিরিঙ্গা থেকে গতকাল তোলা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ক্রেতারা বেশি ভিড় করছেন আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স, সিটি সেন্টার, ওয়েস্টার্ন প্লাজা, সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট ও ওসান সিটি মার্কেটে। এসব মার্কেটে বেশি বিক্রি হচ্ছে রকমারি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, জুতাসহ নানা রকমের পণ্য। তবে প্রতিদিন পৌরশহর চিরিঙ্গার ঈদবাজারে আগত অন্তত লাখো ক্রেতাকে কাছে টানতে মারাত্মক শব্দদূষণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বেশ কয়েকটি মার্কেট। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সমানে মাইকে প্রচারের শব্দদূষণের কারণে অতিষ্ঠ স্থায়ী বাসিন্দারা।
এদিকে ক্রেতাদের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যাতে চোর, ছিনতাইকারী, ইভটিজার ও পকেটমাররা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে। একইসঙ্গে পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ ও থানার পুলিশ মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজান মাস শুরুর ১০ দিন পর্যন্ত দিনে কমবেশি বেচাকেনা ছিল। এর পর থেকে বেশ জমে ওঠেছে ঈদবাজার। ভোররাত পর্যন্ত এখন বেচাবিক্রি চলছে।
আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের রূপসী ক্লথ স্টোরের মালিক মো. মনসুর আলম চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘ঈদের বাজার যেভাবে জমে ওঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থায় দম ফেলারও সময় পাচ্ছেন না দোকান কর্মচারীরা। এজন্য শিফট ভাগ করে দিয়ে কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।’
চকোরী বস্ত্রালয়ের মালিক সত্যজিৎ ধর চকরিয়া নিউজকে জানান, প্রতিবছর রমজান মাসে বেশি বিক্রির আশায় থাকেন দোকানিরা। এজন্য আগে থেকেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রকমারি দেশি-বিদেশি শাড়ি, সালোয়ার কামিজসহ নানা ধরনের পণ্যের সমাহার ঘটানো হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারে নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইন্ডিয়ান বিভিন্ন আইটেমের শাড়ি। এর মধ্যে জামদানি, কাতান, চেন্নাই শাড়ির চাহিদা বেশি। একইসঙ্গে হাতের কাজ করা শাড়িও কিনছেন অনেকে। আবার বিভিন্ন নামের সালোয়ার কামিজেরও কদর বেশি রয়েছে এবারের ঈদে।’
উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার মানিক পাড়া থেকে ঈদের পোশাক ক্রয় করতে আসা নূরে জন্নাত কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দোকানে দোকানে নজরকাড়া শাড়ি ও সালোয়ার কামিজের সমারোহ রয়েছে। এসব পণ্যের মানও ভালো। তাই বিক্রেতারা এখনো দাম ধরে রেখেছেন।’
নূরে জন্নাতের সঙ্গে আসা চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ইসমত আরা বলেন, ‘বুটিকসের একটি সালোয়ার কামিজ পছন্দ হওয়ায় কিনে নিয়েছি। দাম একটু বেশি নিলেও পছন্দ হওয়ায় সময় নষ্ট করিনি।’
চকরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক সওদাগর চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় ছোট-বড় বিপণি বিতান রয়েছে অন্তত ৩০টি। সেখানে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত জমজমাট বিকিকিনি চলছে। ঈদবাজারে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিপণি বিতানগুলোর পক্ষ থেকে।’
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘চিরিঙ্গা শহরে আশপাশের অন্তত ৬টি উপজেলার ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসেন। প্রতিদিন কম করে হলেও শিশুসহ লক্ষাধিক নারী-পুরুষের আগমন ঘটে। ক্রেতা-সাধারণের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশকে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সকল ধরনের অবৈধ এবং ভাসমান দোকান-পাট উচ্ছেদ করা হয় রমজান শুরুর আগে থেকে।’
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘চিরিঙ্গা বিপণি বিতানে আগত ক্রেতারা যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় না পড়েন সেজন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে। এতে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পুলিশের নজরে আসেনি।’
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: