ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ঈদগাঁওতে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বই মেলা : শিক্ষার্থীদের মাঝে আশার আলো

indexএম আবু হেনা সাগর,  ঈদগাঁও :::

ঈদগাঁওতে এই প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বই মেলা। ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস এ-ওয়ান এসোসিয়েশন’ মেলার আয়োজন করছে। এ মেলাকে ঘিরে বৃহত্তর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতির মতে, মেলায় থাকবে ইউনিয়ন ভিত্তিক বইয়ের স্টল, স্থানীয় শিল্পী বাহারী নির্মিত কাঠের ফুল প্রদর্শনী ও চাকুরী প্রত্যাশী ও চাকুরী দাতা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ কেন্দ্র। প্রতিদিনের কর্মসূচীতে আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সুধীদের আড্ডার আয়োজন রয়েছে। অংশগ্রহণকারী ইউনিয়ন হচ্ছে ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী এবং রশিদ নগর। বইয়ের স্টলে অনুবাদ, কবিতা ও জীবনী গ্রন্থ, উপন্যাস, নাটক, ছোট গল্প, শিশুতোষ বই এবং দেশী-বিদেশী রেফারেন্সের বই থাকবে। তবে সাধারণ সম্পাদকের মতে, বিগত বছর ২ জানুয়ারী কার্যক্রম শুরু করা এ ব্যতিক্রমধর্মী সংগঠনটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় দু’শতাধিক। যাদের অধিকাংশই সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এবং বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থী। আয়োজকদের আশাবাদ যে, এ বইমেলাটি জ্ঞানের আলো বিতরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বই ও জ্ঞান প্রেমীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনার মাধ্যমে জ্ঞানের গভীরে অবগাহনে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ঈদগাঁওতে প্রথমবারের ন্যায় তিনদিন ব্যাপী বইমেলার মত মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানায় দৈনিক আজকের কক্সবাজারের ঈদগাঁওস্থ নিজস্ব প্রতিনিধি এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও লেখক সোসাইটির সভাপতি এস.এম রুবেল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, সদস্য জসিম উদ্দীন জয়, শুকান্ত দাশ প্রিয়লালসহ আরো অনেকে।

————————————————–

ঈদগাঁওতে ক্রেতারা প্রতারণার শিকার

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

বাসি ও পেটি থেকে বের করা মাছ তাজা প্রদর্শনে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী এবার ব্যবহার করছে নানা রঙের বৈদ্যুতিক বাল্ব। এ বাল্বের আলোয় ক্রেতারা প্রায়শঃ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। চড়া মুল্যেও পাচ্ছে না কোন রকম তাজা মাছ-মাংস। উল্টো এসব খেয়ে রোগে-শোকে ভুগছে ক্রেতা সাধারণ। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মাছের শেড ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে হরেক রঙের চোখ ধাঁধানো বৈদ্যুতিক বাল্ব। এ আলোর নিচে রাখা মাছ-তরকারি তাজা না বাসি তা কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারছে না ক্রেতা সাধারণ। দেখলেই মনে হয় সবে মাত্রই নদী বা পুকুর থেকে তুলে আনা তরতাজা মাছ! কেনার পর যখন এ মাছ-তরকারি বাড়ী কিংবা বাসায় নিয়ে বের করা হয় তখন এসবের রং দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে উঠে। কারণ ক্রয়ের সময় যে মাছ চকচক করছিল তা বাড়ি কিংবা বাসায় নিয়ে যেতেই রঙ পরিবর্তনের পাশাপাশি পঁচে গলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র প্রায় তিন লক্ষাধিক জনগনের প্রধান কেন্দ্রস্থল ঈদগাঁও বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বিপাকে ফেলছে ক্রেতাদের। বুঝে উঠার কোন উপায় নেই। একদিকে যেমন সাধারণ ক্রেতারা চরম প্রতারণার শিকার, অন্যদিকে এ কৌশলে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে চড়া মুল্য। ফরমালিনের পাশাপাশি এ বাল্বের জাদুতে যেন জনসাধারণ দিশেহারা! ফরমালিনের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রশাসন অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ঈদগাঁও বাজারেও এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবী জানান দূর-দূরান্ত থেকে আগত ক্রেতারা। এবার নতুন এই বাল্ব প্রতারণা যুক্ত করে পঁচা, বাসি এবং মানবদেহের ক্ষতিকারক পদার্থ সমৃদ্ধ মাছ তরকারী বিক্রির উৎসবে মেতেছে। এতে এক দিকে যেমন এসব প্রতারক ব্যবসায়ীরা গ্রামের সহজ-সরল জনসাধারণকে ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুল্য হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে, অন্যদিকে তারা অতিরিক্ত লাভের আশায় জনগণকে এ ধরণের মাছ-তরকারী খেয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এক ক্রেতার মতে, রাত্রে মাছ কিনতে গেলে ব্যবসায়ীরা বৈদ্যুতিক বাল্বের আলোতে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভাল মাছ বলে লেকচার দিয়ে ঐ ব্যবসায়ীর দুয়েক দিনের কিংবা পেটি থেকে তোলা মাছগুলো ক্রেতাদের কাছে চড়ামূল্যে ধরিয়ে দিচ্ছে। মাছ নিয়ে বাড়ীতে গেলে পরিবারের অপরাপর লোকজনের কাছ থেকেও অনেক সময় বকুনীও শুনতে হয়। তবে সচেতন মহলের অভিমত, এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা এখন সময়ের দাবী।

————————————————–

অল্প গরমের শুরুতেই ….. জেলাব্যাপী গ্রামাঞ্চলে ডাব বিক্রির হিড়িক

এম আবু হেনা সাগর,  ঈদগাঁও :::

ডাব ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে জেলার গৃহস্থ সমাজ। গ্রাম থেকে নাম মাত্র মূল্যে ডাব কিনে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলাশহর, বিভিন্ন উপজেলা শহর ও মফস্বল বাজারে । কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলায় প্রায় গৃহস্থবাড়িতে রয়েছে নারিকেল গাছ। সমুদ্রের লবণাক্ত আবহাওয়ায় এসব গাছে ভালই ফলন হয়। সম্প্রতি গত কয়েক দিনে গরম বাড়ার সাথে সাথে জেলাব্যাপি গ্রাম-গ্রঞ্জে ডাব বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বর্তমানে বাড়ছে কচি ডাবের বিকিকিনি। ভ্রাম্যমান ক্রেতারা রিকশাভ্যান নিয়ে পাড়া-মহল্লা গ্রামের সড়ক ও মেঠো পথে ঘুরে ঘুরে গৃহস্থ বাড়ী সংলগ্ন নারকেল গাছ থেকে ডাব কিনে নিচ্ছে। ক্রেতারা নিজেই দড়ি ও দাঁ নিয়ে গাছে উঠে ডাব পেড়ে নিচ্ছে ও সংগৃহিত এসব ডাব কক্সবাজার জেলাশহর, চকরিয়া, আমিরাবাদ, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাইকারী সরবরাহ দিচ্ছে। বাজারে প্রচলিত বোতল ও টিনজাত কেমিক্যালযুক্ত বিভিন্ন পানিয়ের পরিবর্তে শতভাগ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ কঁচিডাব ভোক্তাদের খুবই পছন্দ বলে জানিয়েছেন ডাব ব্যাবসায়ীরা। তাই ক্রেতাদের এ চাহিদা মেটাতে গ্রাম থেকে হাজার হাজার ডাব প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন শহরে। কাঠফাটা গরমে তৃঞ্চা মেটাতে ডাবের পানি উপদেয় বলে জানান একাধিক গ্রাহক। ভোক্তদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতিটি ডাবের দাম ২০/৩০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন শহর-বন্দরে। অথচ গ্রামের গৃহস্থদের থেকে ডাব কেনা হচ্ছে প্রতিটি মাত্র ১০/১৫ টাকা হারে। এভাবে গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে গ্রামের গৃহস্থ ও শহরের ক্রেতারা। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী দালাল-ফাঁড়িয়া ব্যাবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। জেলার পাশাপাশি বৃহত্তর ঈদগাঁওতে একটি ডাব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চলতি গরম মৌসুমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এরা বিশাল এলাকার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ডাব কিনে এনে গাড়ীযোগে চট্টগ্রাম, বান্দরবানসহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়ে চড়াদামে বিক্রি করে থাকে। তাদের এ ব্যবসা গরমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে। এদিকে কয়েক ডাব ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে বহুমাস আগে থেকেই বিভিন্ন গৃহস্থকে ডাবের জন্য দাদন দিয়ে রেখেছে, তাই এখন গৃহস্থরা নিজ থেকেই ডাবের দাম কমিয়ে রাখছেন। অপর আরেক ডাব ব্যবসায়ীর মতে, এভাবে গাছ থেকে কঁচি ডাব ব্যাপক হারে পেড়ে নেয়ার ফলে ভবিষ্যতে নারকেলের সংকট দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: