ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

“মহেশখালিকে আমরা সিংগাপুর মালয়েশিয়ায় পরিণত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছি” -চট্টগ্রামে মহেশখালী সমিতির মাহফিলে এমপি আশেক

জে. জাহেদ.চট্টগ্রাম ব্যুরো :

পবিত্র রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীতে দ্বীপ এলাকা মহেশখালির একমাত্র সংগঠন “মহেশখালী পেশাজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (মহেশখালী ফোরাম) এর উদ্যোগে নগরীতে ইফতার মাহফিল ও দোয়া সম্পন্ন হয়।

আজ পহেলা জুন শুক্রবার ৫টা নগরীর লাভলেইন স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে এ ইফতার মাহাফিল এর আয়োজন করা হয়।

এতে সমিতির সভাপতি পানছড়ি’র ইউএনও মুহাম্মদ আবুল হাসেম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা শুরু করা হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায়- ছিলেন সঞ্চালনায় ছলি নজরুল ইসলাম ও নুরুল মোস্তফ জুয়েল।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালি কুতুবদিয়া (কক্সবাজার-২) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহেশখালি কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন,”চট্টগ্রামের বুকে এক খন্ড মহেশখালি দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। যে উদ্দশ্যে নিয়ে মহেশখালি পেশাজীবি সমবায় সমিতি গঠন হয়েছে,সত্যিই গর্বিত আমরা সকলে”।

এক পর্যায়ে সংসদ জানান, আগামীতে মহেশখালিতে ৭টি অর্থনীতিক জোন হতে যাচ্ছে। মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে মহেশখালির মানুষের অধিকার রক্ষা করা হবে। অবহেলিত এলাকাতে আজ উন্নয়নের প্রাণের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন,নতুন সম্ভাবনায় এগিয়ে যাচ্ছে মহেশখালি। মহেশখালিকে আমরা সিংগাপুর মালয়েশিয়ায় পরিণত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছি। ১০ বছরে ৩লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। ৫০টি দেশের ১২শত লোক আজ কাজ করছে।

লবণ,পান,বেঁরিবাধ, স্কুলসহ সব দিকে ১০ বছরে বদলে যাবে মহেশখালী। যারা চট্টগ্রামে বসবাস করছে শিক্ষা শেষে তাদের তালিকা করেন।আমি চেষ্টা করবো চাকরি দিতে।

এমপি বলেন, ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে আর বিদেশ যেতে দেবেনা। মহাকাশে আজ বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে। আমরা আরেকবার যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করি। তাহলে উন্নত বিশে^ বদলে যাবে বাংলাদেশ।

সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবুল হাসেম (ইউএনও) বলেন, আমরা কি কাজ করি,কে সেবা দিতে চেষ্টা করি। তা আমাদের শ্লোগানে রয়েছে। আজকের মিলনমেলা তার প্রয়াস। আমরা চেষ্টা করি মহেশখালীর মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে,রোগিরা যেন চিকিৎসা পায়,এছাড়াও দুর্যোগে পাশে থাকার চেষ্টা করি।

তিনি আরো বলেন, সব সম্ভব হয়েছে আপনাদের জন্য। উন্নয়নের ধারাবাহিক রক্ষা করতে হবে,মহেশখালীর ছেলেরা যেন চাকরি পায়। অধিগ্রহণকৃত জমিতে যেন জনগণ প্রকৃত মুল্য পায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বান্দরবন জেলা জজ লা মং, কমান্ডার ইফতখোর হাসান, বান্দরবন সরকারি কলজেরে সবকে অধ্যক্ষ সুকুমার দত্ত, ডা. এহসানুল হক কাজল, ডা. কাদরে, ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, সিনিয়ির সহকারী জজ আলী আক্কাস, সরওয়ার কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখনে।

এছাড়াও ইফতার ও দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রামস্ত মহেশখালীর সকল পেশার শ্রদ্ধাভাজন এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্রছাত্রী ও সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অতিথি মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালি ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, যিনি মহেশখালী দ্বীপে তারুন্যনির্ভর যুবনেতা হিসাবে বেশ প্রশংসিত।

ইফতারের আগ মুহূর্তে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি, সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহাফিল পরিচালনা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে পরিশেষে সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোচনা পর্ব শেষ করেন।

পাঠকের মতামত: