ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে শিশু পার্ক

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

অবশেষে শিশুদের বিনোদনের জন্য কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে শিশু পার্ক। কক্সবাজারে একটি আধুনিক শিশু পার্ক নির্মাণ করার সাধারণ মানুষের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। কক্সবাজারে শিশুদের জন্য আলাদাভাবে কোন ধরণের শিশুপার্ক অতীত থেকে নেই বললেই চলে। যেটি শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য খুবই জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিভাবকদের মতে, শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন একটু আলো-বাতাস। যেটি শিশুদের মনে সহজে দাগ কাটে। আর এতেই শিশুদের বেড়ে উঠার পেছনে অনেকটা দায়িত্ব পালন করে থাকে একটি মানসম্মত ও আধুনিক শিশু পার্ক। যেটি আমাদের কক্সবাজারে নেই। এটি শুধু কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুদের মননশীল বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে ছুটে আসা শিশুদের জন্যও গুরুত্ব বহন করবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অতীত সময়কাল থেকেই কক্সবাজার জেলাবাসী প্রায়শই দাবী করে আসছিল জেলা শিশু পার্ক নির্মাণের। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কারণে কক্সবাজার বিশ্বময় পরিচিতি লাভ করেছে। ফলে প্রতিবছরই এখানে আসে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদেরও দাবী কক্সবাজারে একটি শিশু পার্ক নির্মিত হোক। বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসন থেকে শিশু পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও জায়গা চিহ্নিত না হওয়ার কারণে এতদিন সে উদ্যোগ সফল হয় নাই।
গত ২৫ এপ্রিল শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত শিশু মেলায় উপস্থিত শিশুদের দাবীর প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শীঘ্রই কক্সবাজারে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সরকারি উদ্যোগে কক্সবাজারে নির্মান করা হচ্ছে শিশু পার্ক। গতকাল ২৮ মে বিকেলে জেলা প্রশাসক শিশু পার্কের সাইনবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। এসময় সহকারি কমিশনার ভুমি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সহকারি কমিশনার জুয়েল আহমদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন ও শিশু পার্ক বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে কবিতা চত্বর ও বিয়াম স্কুলের মাঝামাঝি সৈকত সংলগ্ন তিন একর জায়গা জুড়ে নির্মান করা হবে পর্যটন নগরীর প্রথম শিশু পার্ক। এর অবকাঠামো নির্মানের কাজও দ্রƒত শুরু হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহ্ম্মাদ কামাল হোসেন।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, অবশেষে পুরণ হলেও জেলাবাসীর প্রাণের দাবী কক্সবাজারে শিশুপার্ক নির্মাণ হওয়ার বিষয়টি আনন্দের। কক্সবাজারের মতো একটি পর্যটন জায়গায় একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিশু পার্ক ছিল জরুরি। যার কোন ব্যবস্থা ছিল না এতোদিন। কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবি এতোদিন পর হলেও পূরণ হওয়ায় জেলাবাসীসহ জেলার বাইরের মানুষ সপরিবারে এই শিশুপার্কে এসে একটু আনন্দের সাথে সময় কাটাতে পারবে। যেটি শিশুদের সৃজনশীলতা ও মনন বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পাঠকের মতামত: