ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইয়াবা মামলার আসামিদের জামিন জালিয়াতি: তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডেস্ক রিপোর্ট ::
৯০ হাজার পিস ইয়াবা মামলার দুই আসামি হাইকোর্টের জামিন আদেশের কপি জালিয়াতির মাধ্যমে কারামুক্তির ঘটনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই দুই আসামি হলেন- আহম্মেদ নুর ও মোহাম্মদ রাসেল।
আজ বুধবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামিনের আদেশ জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ।

মো. আলী জিন্নাহ জানান, ২০১৭ সালের ১৮ আগস্ট ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আহম্মেদ নুর ও মোহাম্মদ রাসেল নামে দুই আসামিকে চট্টগ্রামের সদরঘাট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালত-৩ এ মামলাটি বিচারের জন্য ওঠে। পরে চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। কিন্তু বিচারাধীন ওই মামলা থেকে হাইকোর্টের জামিন আদেশ জালিয়াতির মাধ্যমে কারামুক্তি পেয়ে যায় ইয়াবা মামলার ওই দুই আসামি।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের জামিন আদেশ জালিয়াতির বিষয়টি গত ২৩ মে আমার নজরে আসে। প্রথমে সেকশনে (হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়) জামিন সংক্রান্ত নথি খুঁজতে যাই। কিন্তু সেখানে এ জাতীয় কোনো নথি না পাওয়ায় জালিয়াতির বিষয়টি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে অবহিত করি।’
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর আদালত সেকশনের সুপারিনটেনডেন্টসহ সংশ্লিষ্টদেরকে জামিন আদেশের মূল কপি ও মামলার নথি হাজির করতে বলেন। কিন্তু সেকশনের কর্মকর্তারা আজ পর্যন্ত ওই জামিনের বিষয়ে কোনো নথি আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। এর পর বিষয়টি আদেশের জন্য আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, আদালত জামিনের আদেশ জালিয়াতির ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অথবা তার অফিসের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট তার আদেশে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে (মহানগর দায়রা আদালত-৩) আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া সংক্রান্ত নথিতে রাষ্ট্রপক্ষের যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কেউ এ মামলার বিষয়ে অবহিত নন। এমনকি আসামিদের আইনজীবী হিসেবে রফিকুর রহমানের নাম উল্লেখ থাকলেও তিনি এ ধরনের কোনো মামলায় শুনানি করেননি বলে জানিয়েছেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ বলেন, এ মামলাটি কখনো হাইকোর্টের কজ লিস্টে (কার্যতালিকায়) শুনানির জন্যও ছিল না। তাই আসামি দুজনের জামিন পাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

পাঠকের মতামত: