ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিরা কৌশলে আত্মগোপনে

মাদক বিরোধী অভিযানে স্বস্তি, আরো কঠোরতা দাবি

রফিকুল ইসলাম, উখিয়া ::

সারাদেশ ব্যাপী চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে সাধারণ লোকজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে মাদক তথা ইয়াবার যেভাবে ডাল পালা বিস্তার ঘটেছে এবং এসবের প্রসারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সহযোগিতা, বিনিময়ে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন এখন এগুলো দমনে ঐসব লোকজনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সাধারণ মানুষ অভিযানের সফলতা নিয়ে সন্দিহান। দীর্ঘ দশক ধরে ইয়াবার ব্যাপক প্রসার ও সেবনের হার মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটাকালে দায়িত্বরত ছিল ওরা।

তারা দমন বা প্রতিরোধের ব্যবস্থার বদলে প্রসারে সহযোগিতা দেওয়ায় অবশেষে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপে দেশবাসী আশ্বস্ত হলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থায় ঘাপটি মেরে থাকা মাদকের সহযোগীদের ও আইনি কাঠামোর আওতায় আনার দাবি তাদের। অভিযান থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট কতিপয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় চিহ্নিত ইয়াবার গডফাদাররা কৌশলী ভূমিকা নিয়ে আত্মগোপনে যাচ্ছে অথবা লোক দেখানো বোঝাপড়ার গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর যখন বানের ঢলের মত রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা আসা শুরু হয়, তখন বিজিবি তাদের পথ রোধ করে রেখেছিল। সীমান্তে আটকা পড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের ছাড়িয়ে আনতে তখন স্থানীয় বেশ কিছু চিহ্নিত মহলকে খুব তৎপর হতে দেখা গিয়েছিল। সাংবাদিকরা তখন ভেবেছিল জীর্ণ শীর্ণ, অভুক্ত, কাদাময় পরিবেশে ঝড়–বৃষ্টি ও রোদের মধ্যে সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্টে এভাবে রোহিঙ্গাদের আটকিয়ে রাখা বিজিবির বাড়াবাড়ি। কিন্তু বিজিবির জনৈক কর্মকর্তা সে সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে রোহিঙ্গারা কিছু আনতে না পারলেও সাথে নিয়ে আসছে প্রচুর ইয়াবা, কেউ কেউ অস্ত্রও আনছে। তাদের তল্লাশি না করে দেশে মূল ভুখন্ডে ঢুকতে দেওয়া নিরাপদ হবে না।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, দেখছেন না শকুনের মত স্থানীয় ছোট, বড় ও মাঝারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌঁড়ঝাঁপ। কিন্তু উপয় নেই। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের বিনা তল্লাশিতে প্রবেশ করতে দিতে হয়েছে। তারপরও কিছু কিছু পয়েন্টে বিজিবির তল্লাশিকালে ইয়াবাসহ কিছু আপত্তিকর বস্তু উদ্ধার করা হয়েছিল। সে আগস্ট থেকে দীর্ঘ নয় মাস পরেও খবর নিয়ে যা জানা যাচ্ছে প্রতিটি রোহিঙ্গা শিবির ইয়াবা ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্মকে রক্ষায় মাদক বিরোধী বিশেষ যে অভিযান তা নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। যারা আজ বিচার বহিভূর্ত হত্যাসহ মানবাধিকারের কথা বলছেন তারা এত বছর কোথায় ছিলেন। মাদক ব্যবসায়ীরা কিশোর, যুব সমাজের কি যে ক্ষতি করেছে তার টের পেতে আরো ৫/৭ বছর সময় লাগতে পারে। তখন তো ওরা তা নিয়ে নানা কথা উঠাবে। তা যে কোন মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ জাতি গঠন করতে হবে বলে দাবি করেন উখিয়া কলেজের অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ।

তিনি বলেন, শর্ষে ভূত রেখে কোন সময় ক্ষেত রক্ষা করা যাবে না। বিগত ১০ বছরের পুরনো নথি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সীমান্ত জেলা কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা বা আশপাশে থানা, উপজেলা প্রশাসন, দায়িত্বশীল সংস্থা, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সব খানে ঘুরেফিরে একই ব্যক্তি দায়িত্বপালন করছে চক্রাকারে।

উখিয়া আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্য শাহ আলম বলেন, শর্ষে ভূত তাড়ানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এলাকায় ক্ষেত্র বিশেষে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটছে। অনেক পুলিশ, বিজিবি সদস্য নিজেদের স্বার্থে স্থানীয়দের মাঝে ইয়াবা ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে। সরকারী দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ গোপনে ইয়াবা ব্যবসার পার্টনার হয়ে, কেউ ইয়াবা জব্দ করে থানায় জমা না দিয়ে সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করা, কেউ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিয়ে মোট টাকা ঘোষ নিয়ে অনেকে রাতারাতি গাড়ি, বাড়ি, ফ্লাট ও অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। গত ২৩ মার্চ উখিয়া থানার অয়ারলেস অপারেটর সুরব বড়ুয়া ১০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে উখিয়া কুটবাজার থেকে আটক হয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে। তার পরিবার ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে চরম দুর্বিসহ জীবন কাটালেও এখনো সে জেলে রয়েছে।

এব্যাপারে উখিয়া থানার পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ সৌরভ বড়ুয়া একজন সাধারণ কনস্টেবল, তার ইয়াবাসহ আটকের কোন সুযোগ নেই। তাহলে সে এত গুলো ইয়াবা বিক্রি করতে গেল তা প্রশ্ন থেকেই যায়। নিশ্চয় থানার অন্যান্য অফিসারদের পাপের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে কনস্টেবল সৌরভ।

চেয়ারম্যান শাহ আলম আরো বলেন, যেমনটি ইয়াবার অন্যতম টার্নিং পয়েন্টে টেকনাফ থানার ওসি রণজিত বড়ুয়ার ব্যাপারে এলাকার মানুষের ব্যাপক অভিযোগ থাকার সত্বেও সে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সেখানে পোস্টিং নিয়ে নানা তেলেসমাতি কাণ্ড কারখানা চালাচ্ছে। এধরনের লোকজন নিয়ে কোনদিন অভিযান সফল হবে কিনা সন্দেহ তার সহ অনেকের।

উখিয়া, টেকনাফ ও রামু সার্কেলে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাই মারমা বলেন, ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে জিরো টলারেন্সে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের মধ্যে কারও কারও ব্যাপারে এ সংক্রান্ত অভিযোগ থাকতে পারে। এগুলো তদন্ত হচ্ছে। যদি কারও ব্যাপারে এধরনের ন্যূনতম অভিযোগে সত্যতা পাওয়া যায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে বিভাগীয় ও ফৌজদারি আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উখিয়া ও টেকনাফে কি পরিমাণের ইয়াবা ব্যবসায়ী তালিকা ভুক্ত রয়েছে তা তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় ২০১২ সালে প্রথম ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রণয়ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশ জুড়ে ইয়াবা পাচার ও সেবন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের সংগৃহীত তালিকা সমন্বয় করার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। হালনাগাদকৃত সমন্বিত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পৃথক পৃথক তালিকায় সারাদেশে মাদক পাচারকারীর সংখ্যা ৫/৬ হাজারের মত জানা গেছে। প্রতিদিন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সেবনকারীর সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রণীত ইয়াবা ব্যবসায়ী বা পাচারকারীদের তালিকায় নাম ঠিকানা সহ সব তথ্য রয়েছে আইন শৃংঙ্খলার বাহিনীর হাতে।

টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকার শীর্ষে সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্র্রেণী পেশার অনেক প্রভাবশালীর নাম থাকায় ব্যাপারটি স্থানীয় প্রশাসন এক প্রকার এড়িয়ে চলেন। পক্ষান্তরে এক শ্রেণীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা/ কর্মচারী/ জনপ্রতিনিধি/ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা এসবের পরোক্ত ও প্রত্যক্ষ ফায়দা লুঠছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। প্রভাবশালী ক্ষমতাধর এসব ইয়াবা গডফাদাররা থাকে সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ইতি পূর্বেকার নির্দেশনা ও এতদিন কোন কাজে আসেনি ও এদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশি বিদেশী অবৈধ পণ্য, মাদক বা ইয়াবা হাতে নাতে পাওয়া না গেলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভব হয়না বলে দাবি করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় দেশ জুড়ে মরণ নেশা ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। এতে আইশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসনের মাঝে গা ঝাড়া ভাব দেখা গেলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই তা স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এতকিছুর পরও উখিয়ার সর্বত্র ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাঝে তেমন কোন ভয়ভীতি দেখা যাচ্ছে না। বরণ ব্যবসার পরিধি, পাচার ও তৎপরতা বৃদ্ধি ঘটেছে। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী উচ্চ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি তাদের আত্মীয় স্বজন, সৃষ্ট বলয় তার বাহিরেও অনেকে ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল অবৈধ সহায় সম্পদের মালিক হয়েছে।

কয়েক মাস পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ইয়াবা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তালিকা সম্বলিত প্রতিবেদনে কক্সবাজারের ‘ক’ অংশে জনৈক সংসদের নিয়ন্ত্রণে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। গডফাদার হিসেবে এ অংশে ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। প্রতিবেদনের ‘খ’ অংশে মিয়ানমারের মংডু আখিয়াব জেলার ২৩ ব্যক্তির নামও রয়েছে। যাদের বাংলাদেশে ইয়াবা পাচাকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘গ’ অংশে পুলিশের ১১ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময় টেকনাফ, উখিয়া থানা, হোয়াইক্যং, শামলাপুর, ইনানি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন এবং এখনো অনেকে কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি বা গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।

ইয়াবার স্বর্গ রাজ্য খ্যাত টেকনাফের পাশাপাশি কয়েক বছরের ব্যবধানে উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচারের নতুন রুটের পরিচিতি পেয়েছে। উখিয়া চোরা কারবারীদের মধ্যে থাইংখালীর জামাল, জায়নাল, জিয়াবুল, নুরুল আমিন, বাইলা, রহমতের বিলের লাদেন, ধামনখালী সীমান্ত এলাকার এনাম, জাহাঙ্গীর, সরওয়ার, নুরুল বশর, লম্বাঘোনার মাহমুদুল করিম খোকা, রাজাপালং খালকাচা পাড়ার কবির আহমদ, লুৎফুর রহমান, আব্দুর রহমান, কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ইয়াবা ডিলার জিয়াবুল হক ও সুলেমান, বালুখালী সীমান্ত এলাকার মোরশেদ আলম প্রকাশ মুন্সীর আলম মেম্বার, তার ভাই রফিক আলম, খলিফা শাহ জাহান, ছৈয়দ আকবর (১), ছৈয়দ আকবর (২), জসিম উদ্দিন, কালা শাহ জাহান, সোনার পাড়ার দিদার, বাবুল, আমতলী ও রেজু পাহাড়ি সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও লম্বাঘোনার মোহামুদুল করিম খোকা, হাজির পাড়ার আতা উল্লাহ, মির আহমদ, দোছড়ির মাহমুদুল হক, জালাল, হিজলিয়ার বাবুল মিয়া, মুক্তার আহমদ, সোনারপাড়ার জয়নাল, সোনাইছড়ির মানব পাচারকারী শামসুল আলম সোহাগ, ভালুকিয়ার জাহাঙ্গীর, আলী আহমদ, নুরুল আলম সহ অন্তত: ৩৫জন গডফাদার উখিয়া থেকে সারা দেশে ইয়াবা ও মিয়ানমারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদক দ্রব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। মূলত এরা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক। তাদের সহযোগী হিসাবে আরো ৩/৪শ জনের মত ইয়াবা পাচারে লিপ্ত রয়েছে। এদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।

উখিয়া আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন ইয়াবা বর্তমানে এখানকার পাড়া, মহল্লায় ছড়িয়ে পড়েছে, বিস্তৃতি ঘঠেছে প্রায় ঘরে ঘরে। ইয়াবার কারণে বাড়ছে সামাজিক ও পারিবারিক সহিংসতা।

উখিয়া আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ইয়াবার ভয়াবহতার বিরুদ্ধে যেখানে সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্বিগ্ন ভাব প্রকাশ করেছেন সেখানে কারও চুপ থাকার সুযোগ নেই। তিনি বলেন তালিকা হয়েছে, হবে। তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূতদের অবৈধ অর্জিত সম্পদ চিহ্নিত করে তা রাষ্ট্রে অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতা অবলম্বণ করে যে কোন মূল্যে ইয়াবা নির্মূল করার দাবি জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: