ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঘের দখল : মহেশখালীতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ায় তোলপাড়

মোঃ জোনাইদ, মহেশখালী ::
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিরোধপূর্ণ একটি চিংড়ী ঘের দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে নিয়ে মহড়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ২৬ মে শনিবার সকালে সংগঠিত এই ঘটনার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়। পুলিশ এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে।
সূত্র জানায় -উপজেলার কুতুবজোম এলাকায় অবস্থিত একটি চিংড়ী ঘের নিয়ে স্থানীয় মোহাম্মদ শাহেদ ও মোহাম্মদ কাসেম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ছিল। সকালে একটি মাটিকাটা স্কেবেটার নিয়ে শাহেদ গ্রুপের লোকজন ঘেরের উন্নয়ন কাজ করছিল। এ সময় কাসেম গ্রুপের লোকজন বন্দুকসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সোলাইমান নামের তালিকাভুক্ত এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৮-২০ জনের এই দলটি মুহুর্মুহু গুলি ছুড়লে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মারধরে আহত হয় স্কেবেটার চালক মোহাম্মদ তৌহিদ ও সুলতানসহ বেশ কয়েকজন।
এই ঘটনার সাথে স্থানীয় যুবলীগের একটি গ্রুপের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবী করেন মোহাম্মদ শাহেদ। এদিকে অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী সোলাইমানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়। জেলা পুলিশের নির্দেশে মহেশখালী থানা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমেছেন বলে জানাগেছে। আহতদের মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে সূত্রের তথ্য বলছে -দুই গ্রুপই অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সোলাইমান গ্রুপের দাবী -মূলতঃ শাহেদ জমি লাগিয়তের চুক্তি করে অবৈধ প্রভাব ও টাকার জোরে তা না মানায় এই গ-গোল হচ্ছে। অপরদিকে শাহেদের দাবী -চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সন্ত্রাসের জোর খাটিয়ে ঘের ছেড়ে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী চক্রটি।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান -সন্ত্রাসী সোলায়মান প্রকাশ্যে হাতে নিয়ে মহড়া ও গুলি করার বিষয়টি জানার পর পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সোলাইমানের স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। -জানিয়েছেন নির্ভরযোগ্য সূত্র।

পাঠকের মতামত: