ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লামায় আজিজনগর-গজালিয়া সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম

ুুুুুুু মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলার আজিজ নগর-গজালিয়া সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কি:মি: সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর-গজালিয়া সড়কটি ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কি:মি: সংস্কার কাজের বিপরীতে টেন্ডার আহবান করে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কাজটি যৌথভাবে পায় অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা এবং র‌্যাব.আর.সি.নামে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজও শুরু করেছে। কিন্তু সড়কটি সংস্কার কাজে ঠিকাদার চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার কারনে প্রতিবাদ জানিয়ে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে সরেজমিনে পরির্দশন করে দেখা যায়, সড়কটি সংস্কার করতে গিয়ে পুরাতন ইট গুলো তুলে তৎমধ্যে ভাল ও মজবুত ইট গুলো অবৈধ ভাবে অন্যত্র বিক্রয় করে দিচ্ছে ঠিকাদার। সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন পঁচা ও নিম্ন মানের ইট। নির্মান কাজে ৮ ইঞ্চি নদীর বালি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও নির্মাণ কাজে মানা হচ্ছেনা কোন নিয়ম। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্য সহকারী আবুল বাশার স্বয়ং উপস্থিত থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মে ঠিকাদারদের সহযোগীতা করছে।

স্থানীয় আব্দুল গফুর, নুরু মিয়া ও আজিজ নগর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হাসেম জানান, রাস্তার পুরাতন ইট গুলো তুলে তারমধ্যে ভাল ও মজবুত ইট গুলো আজিজনগর চেয়ারম্যান পাড়া কারিতাস অফিসের মোড়ে (কক্রবাজারের হারবাং) এলাকায় একটি জায়গা ভাড়া করে সেখানে ষ্টক করে রেখেছে। প্রত্যেক রাতে ঠিকাদাররা ট্রাক যোগে এসব সরকারী ইট বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করছে। তারা আরো জানান, ভাল ইট গুলো অবৈধ ভাবে বিক্রয় করে ব্যবহৃত পঁচা ও নিম্নমানের ইটের খোয়া রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। একটু জোরে পায়ের চাপ পড়লেই গুড়ো হয়ে যাচ্ছে এসব ইটের খোয়া। ওয়ার্ক অর্ডারে যে পরিমান ইটের খোয়া, বালি ফিলিং, বেইজ ও সাব বেইজ করার নিয়ম রয়েছে তার কিছুই মানা হচ্ছেনা। নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে ঠিকাদার যেন তেন ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সামনের বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে সরকারের কোটি টাকা নষ্ট হবে বলে তারা জানান।

আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজেমুল ইসলাম চৌধুরীকে কাজের মান জানতে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল ফোন সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এব্যপারে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, সড়ক সংস্কার কাজে কোন প্রকারের দূর্নীতি ও অনিয়ম আশ্রয় পশ্রয় দেয়া হবেনা এবং কোন দূর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিকাদার কর্তৃক রাস্তার পুরাতন ভাল ইট গুলো অবৈধ ভাবে বিক্রয় করা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, এব্যাপারে ঘটনা স্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। ষ্টক করা সরকারী ইট গুলো কক্রবাজার এলাকা থেকে সরিয়ে বান্দরবানের সীমানায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ ভাবে বিক্রয় করা রাস্তার ইটগুলো ঠিকাদারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরন চাওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: