ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘নিজের ব্যবসাটা দারুণ উপভোগ করছি’

1890_Nipunবিনোদন ডেস্ক :::

চিত্রনায়িকা নিপুণ। বড় পর্দার জনপ্রিয় এই মুখ অভিনয়ের বাইরে সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে নারীদের সৌন্দর্য্য চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন।  অভিনয়ের অবসরে সেখানেই সময় কাটছে তার। নিজের অভিনয় জীবন, ব্যবসাসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কামরুজ্জামান মিলু

কেমন আছেন ? এখন কোথায় (সাক্ষাৎকার নেয়ার সময়)
ভালো আছি। আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’-তে সময় কাটছে। শুটিং না থাকলে এখানেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকা হয়। আমাদের দেশে অনেকে সচেতন থাকলেও সৌন্দর্য্য চর্চার সব ধরনের সেবা তারা ঠিকমতো পান না। আমি নিজেও ভুক্তভোগী। তাই আমি চেয়েছি  সেই অভিজ্ঞতা থেকে একটা কিছু করার। এখানে থাইল্যান্ডের পাঁচজন বিশেষজ্ঞ রূপসজ্জাশিল্পী কাজ করছেন।

‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’ নিয়ে ভাবনা কি ?
এই তো বেশ ভালোই চলছে। বিদেশী অনেক ক্লায়েন্টও এখানে নিয়মিত আসে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের নেইলস ডিজাইনটা খুব চলছে। আর বিদেশীরা তো হাত-পা পরিষ্কার রাখতে বেশি পছন্দ করেন। তাই নিয়মিত মেনিকিউর, পেডিকিউরসহ এখানকার নানা সার্ভিস তারা পছন্দ করছেন। আমার এখানে একটা কফিশপ দেয়ার ইচ্ছে আছে। সেটারও কাজ চলছে। ব্যবসা হোক বা না হোক এখানে না আসলে আমার একদম ভালো লাগে না। নিজের ব্যবসাটা দারুণ উপভোগ করছি।

আর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবর কি ?
আমি দুইদিন আগে পুবাইলে একটি ছবির কাজ শেষ করলাম। নাম ‘৫২ থেকে ৭১’। এর কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। অভিজ্ঞ ও গুণী এই পরিচালকের নির্দেশনায় এই প্রথম কোন চলচ্চিত্রে ফেরদৌস ও আমি কাজ করেছি। এখানে আমার চরিত্রের নাম সখিনা। গল্পে দেখা যাবে, সখিনা বাধ্য হয়ে একসময় আত্মহত্যা করতে যায়। কিন্তু রহিম তাকে বাঁচায়। ঝন্টু ভাই এমনই একজন পরিচালক, যিনি শিল্পীকে নিখুঁতভাবে দেখিয়ে দেন কীভাবে অভিনয় করতে হবে, যা এ সময়ে অনেক পরিচালকের মধ্যে দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেই ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ করেন। এমন একজন দক্ষ পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আর ফেরদৌস ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করাটা সবসময়ই আমি খুব উপভোগ করি। কাজটা ভালোই হয়েছে।

এছাড়া অন্য কোনো নতুন ছবিতে কাজ করছেন কি ?
না। আপাতত কাজের অবস্থা নেই। কারণ যেসব ছবির প্রস্তাব আমার কাছে আসে গল্প বা চরিত্র পছন্দ হয় না বলে সেসব আমি করতে চাই না। তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতে অভিনয় করেছি। এ ছবিটিও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দর্শকরা ছবিটি পছন্দ করবেন বলে আশা করছি। আর চলচ্চিত্রের বাইরে তো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছি। তাই সময় কখন যে কেটে যাচ্ছে টের পাই না। বছরে দুটো ভালো প্রোডাকশনে কাজ করব এটাই চাওয়া এখন।

বর্তমান চলচ্চিত্রের বাজারটা খারাপ। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি ?
কোনো ছবির ভালো রিপোর্ট পাচ্ছি না এখন। কেমন যেন হয়েছে চলচ্চিত্রের বাজার। কোনো ছবিই দর্শকরা দেখছেন না। এই যেমন আমার অভিনীত ‘আমার প্রাণের স্বামী’ ছবিটির সে সময় নির্মাণ বাজেট ছিল ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু প্রযোজক বাজার থেকে ৩ কোটি টাকা তুলে আনে। আগে তো সব ছবিই দর্শকরা দেখতেন এবং প্রযোজক লাভবান হয়ে আরেকটি বড় বাজেটের ছবি নির্মাণ করতে আগ্রহী হতেন। এখন তো তা হচ্ছে না। কিভাবে যে এই দু:সময়টা কেটে ওঠব আমরা তাই ভাবছি।

টিভিতে কাজ করতে দেখা গেছে আপনাকে। এবার করবেন কি ?
নির্মাতা মাসুদ সেজানের টিমটা আমার খুব পছন্দের। তাই তাদের টিমের সঙ্গে এবারও কাজ করা হবে। বিশেষ করে ঈদের জন্য সেজানের টিভি প্রোডাকশনে হয়তো কাজ করব। এই তো।
এর মধ্যে কি দেশের বাইরে যাবেন ?
হ্যাঁ। এর মধ্যে বলতে আাগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি আমি ইউকে-তে মেয়ের কাছে যাবো। তবে এখন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এতটা আপন হয়েছে যে বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না।

পাঠকের মতামত: