ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় এক কাজীর বিরুদ্ধে গোপনে বাল্য বিবাহ করার অভিযোগ!

এম.জুবাইদ,  পেকুয়া ::

পেকুয়ায় এক কাজীর বিরুদ্ধে গোপনে বাল্য বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বারবাকিয়া নয়াকাটা এলাকার মৌলভী সোয়াইব দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারস্থ হার্ডওয়্যারের দোকান ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি ওই দোকানের সাইনবোর্ড সরিয়ে দিয়ে হঠাৎ কাজি অফিস বলে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। তা নিয়ে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ জন্মায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ সে প্রতিদিন কম বয়সী মেয়েদের অভিভাবক থেকে মোটা অংকের উৎকোচ আদায়ের বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধনের কপি স্ক্যান করে জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে দিয়ে বাল্য বিবাহ করে যাচ্ছে। কিন্তু অনলাইনে জরিপে দেখা যায় ওই সব জন্ম নিবন্ধনের তথ্যর সাথে অনলাইনের তথ্যের কোন মিল থাকেনা। বর্তমান সরকার বাল্য বিবাহ ও জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি বন্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষাণা করেন।

গত বছরের ২৫ আগষ্ট বাংলাদেশে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করায় কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক যেন হতে না পারে সেজন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় জেলায় জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এত আইনের কঠোরতা থাকলেও তা বৃদ্ধআঙ্গুলী দেখিয়ে ওই কাজী সোয়াইব প্রতিনিয়ত কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বাল্য বিবাহ করিয়ে যাচ্ছেন। তিনি টাকার বিনিময়ে রেজিষ্টারে নথি অন্তরভুক্ত করেন।

ওই বাল্য বিবাহের কারণে এলাকায় অনেক দূর্ঘটনা ঘটনা এবং অনেক বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যাসহ নানা ধরণের ঘটনা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সে সরকারী তালিকাভুক্ত কাজী নই। সে অন্য কাজী থেকে কমিশনের মাধ্যমে রেজিষ্টার বহি এনে বিবাহ করিয়ে মানুষদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সে ইতি মধ্যে প্রশাসনের আড়ালে দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দিয়ে অনেক টাকা মালিক বনেছে।

এ দিকে টইটং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাহামুদুল হক এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলেদেন আমি ও মগনামা ইউনিয়নের কাজী ছাড়া পেকুয়া উপজেলায় আর কোন ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত কাজী আছে বলে আমার মনে হয়না। তবে সোয়াইব কোন সরকারী কাজী নই। সে কোন কাজী থেকে রেজিষ্টার এনে বিবাহ করিয়ে মানুষদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোয়াইবের সাথে যোগাযোগ করার ওনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বার বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: