ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় পানিতে বিষ মিশিয়ে প্রতিবন্ধীকে হত্যা করল ভাবী

নাজিম উদ্দিন,  পেকুয়া  :
পেকুয়ায় পানিতে বিষ মিশিয়ে এক বাক প্রতিবন্ধীকে হত্যা করল পাষন্ড ভাবী। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা গ্রামে নিষ্টুর এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বাকপ্রতিবন্ধীর। নিহত বাকপ্রতিবন্ধীর নাম রিনা আক্তার (২০)। তিনি সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা গ্রামের মৃত আহমদুর রহমানের মেয়ে। চট্রগ্রাম মেডিকেল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ প্রেরন করে।  আজ ১৬ মে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, রিনা আক্তারকে ১৪ মে রাত ১১ টার দিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়। মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী। ওই দিন রাতে রিনা আক্তার খৈ এর লাডু ভক্ষন করে। এ সময় পানির তৃষ্ণা আসে। পানির জন্য ভাবীকে ইশারা দেয়। এ সময় রিনা আক্তারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী তহমিনা আক্তার গ্লাস নিয়ে পানি এনে দেয়। পানি পান করার মুহুর্তে বিষক্রিয়া দেখা দেয় রিনার শরীরে। এ সময় চটফটসহ তার নাকে মুখে ফেনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তার শারীরিক অবনতি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত হন। তারা কীটনাশকের উৎকোট দুর্গন্ধ পান। এক পর্যায়ে ভাবী পানিতে বিষ দিয়েছে সেটি ইশারায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জানাতে সক্ষম হন ওই মহিলা।

স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই দিন রাতে পেকুয়া বাজার ডা: মুজিবের ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। এ সময় তাকে ওই দিন চমেক হাসপাতালে রেফার করে। আজ ১৬ মে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানায়,পানিতে কীট নাশক মিশিয়ে পাষন্ড ভাবী ননদ রিনাকে হত্যা করে।

গ্রামবাসীরা জানায়, সবিক্রন নামের কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে দিয়ে তাকে পান করানো হয়। ভাবী তাহামিনা আক্তারকে স্থানীয়রা আটক করছিলেন। এ সময় পুলিশে সোপর্দ করে তাকে। বাপের বাড়ির লোকজন মোসলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।

রিনার মা মরিয়ম বেগম জানায়, আমি ও আমার মেয়ে পুত্রবধূর বোঝা ছিলাম। প্রতিবন্ধী মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পানিতে বিষ দেয় ছেলের বউ। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

রিনার বড় ভাইয়ের স্ত্রী বুলু আরা বেগম জানায়, আমরা পৃথক ভিটা ও বসতবাড়িতে বসবাস করছি। আমার বাকপ্রতিবন্ধী ননদকে জাঁ তাহমিনা বিষ মিশিয়ে পানি খাইয়ে হত্যা করে।

তাহমিনার স্বামী নুরুন্নবী জানায়, আমি চট্রগ্রামে থাকি। ধানক্ষেতে পোকা দমন করতে কয়েক মাস আগে সবিক্রন বিষ এনেছিলাম। একটি বোতল আমার স্ত্রীর কাছে ছিল। সেটি বেচে গিয়েছিল। এ বোতল তার কাছে সংরক্ষন ছিল। সেটি দিয়ে আমার নিষ্পাপ বোনকে প্রাননাশ করা হয়েছে। আমি জেনেছি। তার বাপের বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছি।

পাঠকের মতামত: