ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পুলিশের হাতে দুই প্রতারক আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ!

প্রতারনার অভিযোগে চকরিয়ায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুইজন।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার একজন ও মৌলভীবাজারের অপরজনের কাছ থেকে কৌশলে ১২ লাখ ৭০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। টাকা দেয়ার পরও চাকুরী না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ঠ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঘুরে প্রতারকদের ধরতে চকরিয়ায় পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চকরিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারণার কাজে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাদের অপর সহযোগি পুলিশের অভিযান টের পেয়ে এলাকা ছেঁেড় লাপাত্তা হয়ে গেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামেমর মো. রাসেল ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোঁজাখালি গ্রামের সাজ্জাদুল ইসলাম।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতারক রাসেল ও সাজ্জাদসহ তাদের সহযোগিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার একজন ও মৌলভীবাজারের অপরজনের কাছ থেকে কৌশলে ১২ লাখ ৭০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা দেয়ার পরও চাকুরী না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। এরপর ভুক্তভোগীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশ্রয় নেন।

ওসি বলেন, পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঘুরে প্রতারকদের ধরতে চকরিয়ায় পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে প্রতারণার কাজে জড়িত চকরিয়ার দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের সহযোগি উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের কৃষ্ণপূর গ্রামের আলমগীর রানা অভিযানের পরপর আত্মগোপনে চলে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত: গ্রেফতারকৃত রাসেল শিক্ষামন্ত্রীর কথিত এপিএস এবং শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের স্বঘোষিত কক্সবাজার জেলা সভাপতি। আর আত্মগোপনে থাকা আলমগীর রানা সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খোরশেদ আরা হকের স্বঘোষিত এপিএস এবং ভাগ্নে। তাদের প্রধান সহযোগী সাজ্জাদ। ##

পাঠকের মতামত: