বাঁশখালী প্রতিনিধি :
উপজেলার ছনুয়া পশ্চিম মাতব্বরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। এতে খরচ হচ্ছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিযোগ, নির্মাণকাজে নিম্নমানের পাথর, সিমেন্ট ও লোহার রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নির্মাণের আগেই ভবনটি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ভবনের ছাদ ও বিমের কাজ শেষ করতে না করতে পাথর ও সিমেন্টের আস্তরণ খসে পড়ে লোহার রড ভেসে ওঠেছে অন্ততঃ ১৫ স্থানে। উপজেলা প্রকৌশলী ফাটল ছাদ ও বিম ভেঙে পুনরায় কাজ করার নির্দেশ দিলেও কাজ হয়নি।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ছনুয়া পশ্চিম মাতব্বরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজের ঠিকাদার মেসার্স এন এস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। চারতলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইউছুফ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম চলছে। এ অনিয়ম-দুর্নীতি কারা বন্ধ করবেন আমি জানি না। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করা হলেও তিনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে অভিযোগ উড়িয়ে দেন।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল কাদের, জালাল উদ্দিন, আবছারসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির বর্ণনা মুখে বলা যাবে না। নির্মাণকাজ শেষের আগেই ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজে প্রতি ১৫ দিন পর পর শ্রমিক বদলানো হয়। ঠিকাদারের দুর্নীতির যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, ‘এলাকাবাসী আমাকে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। আমার দায়িত্ব এটুকুই। এর বেশি করার আমার সাধ্য নেই।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনে কিছুটা ফাটল দেখা দিয়েছে। যা আমি দেখেছি। তবে এগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।’
ঠিকাদার মেসার্স এন এস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কীভাবে ভবনের ছাদে ও বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে জানি না। কিছু শ্রমিকের ভুলের কারণে হয়তো তা হয়েছে। পুনরায় ফাটল ঠিক করা হচ্ছে।’
বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘কিছু শ্রমিকের ভুলের কারণে কয়েক স্থানে ফাটল দেখা গেছে। ফাটল অংশ ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কাজ তদারক করছি। নির্মাণকাজে আর অনিয়ম করতে দেব না।’
দুর্নীতির ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা?-প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের ব্যাপার।’
পাঠকের মতামত: