ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে ৫৭ দোকান ভস্মিভুত : ১২কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালীতে সিএনজি গ্যারেজ  থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৫৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১২কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।শনিবার (১২মে) রাত ২টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পুরাতন ফেরীঘাট (জীপ ষ্টেশন) এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।অগ্নিকান্ডে সংবাদ পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী  ঘটনাস্থলে পৌছতে বিলম্ব হলে স্থানীয় জনতা তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়।এতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর ৭সদস্যকে আহত করে গাড়ী ভাংচুর করা হয় বলে দাবী করেছে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ষ্টেশন অফিসার।

এদিকে বদরখালীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।অগ্নিকান্ডে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর।

অগ্নিকান্ডে ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, বৃহস্পতিবার রাত্রে পুরাতন ফেরিঘাট ষ্টেশন এলাকায় দোকান ব্যবসায়ীরা যার যার মতো করে দোকান বন্ধ করে অধিকাংশ ব্যবসায়ী বাড়ি চলে যান।আকস্মিক ভাবে রাত ২টার দিকে হঠাৎ আগুন সৃষ্টি হয়ে মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ৫৭টি দোকান পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়।ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী সদস্যরা পৌছার পূর্বেই সব দোকান পুড়ে যায়।এতে দোকান ব্যবসায়ী অন্তত ১২কোটি টাকার ক্ষতিসাধিত হয়।পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে রয়েছে পানের দোকান, চায়ের দোকান, মুদির দোকান,সিএনজি গ্যারেজ,রিক্সার গ্যারেজ, বিভিন্ন ফলের দোকানসহ ৫৭টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ওই সময় গ্যারেজ থাকা তিনটি সিএনজি ও ১২টি ভ্যানগাড়িও পুড়ে যায় বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, বদরখালী ইউপি পরিষদের পক্ষথেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে যে সব ব্যাক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকান সমূহ শনিবার সকালে দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল বশরকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসনকে তাদের তালিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাতে পেলে তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: