ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় খাদেমকে মারধরের প্রতিবাদে উলামালীগ ও ছাত্রসেনা মানববন্ধন

মনির আহমদ, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় মসজিদের সভাপতির পদ নিয়ে মাজারের প্রধান খাদেম ও পুত্র কে মারধরের প্রতিবাদে
মহাসড়কের চকরিয়ায় বাংলাদেশ উলামালীগ ও ছাত্রসেনা মানবন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউপি  চেয়ারম্যান কর্তৃক মাজারের প্রধান খাদেম ও পুত্র কে মারধরের প্রতিবাদ ৬ মে রবিবার এ মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ উলামালীগ ও ছাত্রসেনা নেতৃবৃন্দ। বানববন্ধন শেষে সমাবেশে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হারবাং এর চেয়ারম্যানের বিচার দাবী করেছেন বাংলাদেশ উলামালীগের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দগন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোহাং তারেক,ইসলামী ছাত্রসেনার সংগঠনিক সম্পাদক মোশার্রফ আলী,ছাত্র সেনার জেলা কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষন সম্পাদক এমএ হোছাইন, ছাত্রসেনা চকরিয়া উপজেলা সহসভাপতি এইচএম আব্দু ছালাম, খাদেম পুত্র ও ছাত্রসেনার চকরিয়া উপজেলা সহ সভাপতি ও স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আহত আবুল হাসেম, ছাত্রসেনা চকরিয়া উপজেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার কামাল ও চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্র সেনার সভাপতি মোহাং আনিস উদ্দিন আনাস বক্তব্য রাখেন।
       উল্লেখ্য চকরিয়ার হারবাং শাহ ছুফি (র:) এর মাজার সংলগ্ন মসজিদের সভাপতি দাবীর বিরোধকে কেন্দ্র করে বয়োবৃদ্ধ খাদেম ও তার ৪ পুত্রকে বেধড়ক মারধর করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মিরানুল ইসলাম। ৪ মে রাত সাড়ে ৮ টায় চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের বাড়ীতে ডেকে মারধরের ঘটনা করেন বলে সাংবাদিকদের নিকট জানিয়েছেন আহত খাদেম ও পুত্র গন।
৫ মে শনিবার সকালে হারবাং হযরত শাহ ছুফি (র:)প্রধান খাদেম মোহাং ফয়েজ আহমদ মাজার সংলগ্ন বসতবাড়ীতে ডেকে সংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ অর্ধশত বছর ধরে তিনি মাজারের দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছেন। মসজিদটি নির্মান করতে গিয়ে সরকারী-বেসরকারী সাহায্য ছাড়াও তার ব্যক্তি মালাকানাধিন পাহাড়ি এলাকার অনেক সহায় সম্পদ বিক্রী করেন। এমতাবস্থায় হারবাং এর ইউপি’তে  মিরানুল ইসলাম চেয়ারম্যান নিজেকে মাজার মসজিদের স্বঘোষিত সভাপতি  আসছিলেন।  ৫ মে শুক্রবার রাত ৮ টায় চেয়ারম্যানের বাড়ীতে এক বৈঠকের আয়োজন করেন। চেয়ারম্যানের কথা মতো রাত ৮ টায় হযরত শাহ ছুফি (র:) মাজারের প্রধান খাদেম মোহাং ফয়েজ আহমদ,  তার ৪ ছেলেকে মিরান ও তার লোকজন মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে বেঁধে রেখে রাত ১২ টার পর চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ, এবং সাবেক মহিলা এমপি আওয়ামীলীগের মহিলা নেত্রী সাফিয়া খাতুনের ফোন পেয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।” এ ব্যপারে খাদেমর পুত্র চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে ও পুলিশ গড়িমসি করছেন। তার প্রতিবাদে আজ ৬ মে সকালে পুর্বসিদ্ধান্ত মোতাবেক চকরিয়ার ইউএনও’ র কাছে একটি স্বারকলিপি দিয়ে সন্ধ্যায় মানব বন্ধন ও সমাবেশ করেন উলামালীগ ও ছাত্রসেনা সহ মাজারের ভক্তগন।

পাঠকের মতামত: