ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের পর কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের তফসিল

নিউজ ডেস্ক ::
আগামী রোজার ঈদের পরে কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কক্সবাজার নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলাল উদ্দিন আহমদ।

আজ শুক্রবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে নির্বাচন কমিশন সচিবের সাথে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

বিমানবন্দরে নির্বাচন কমিশনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত একটি সূত্রে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ রোজার ঈদের পর কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান।

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ না হলেও জুলাইয়ের শেষে বা আগস্টের শুরুর দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, রোজার ঈদের পরে কক্সবাজার পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কমিশনের সচিব আজ নির্দেশনা দিয়েছেন।

তবে নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে তিনি জানান।

কক্সবাজার পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি। ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। অন্যান্য পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথগ্রহণ করলেও ৪ দফা সময় পরিবর্তনের পরেও শপথগ্রহণ হয়নি। ফলে আগের পৌর পরিষদ দীর্ঘ আড়াই বছর বাড়তি দায়িত্ব পালন করে।

পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণের দাবিতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি কক্সবাজারে হরতাল পালন করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ২০ জুলাই নির্বাচিত পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক।

শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর নির্বাচিত মেয়র সরওয়ার কামাল বেশিদিন দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা ও দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেয়র সরওয়ার কামালকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চিঠি ইস্যু করে। প্যানেল মেয়র-১ জিসান উদ্দিন ও প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকায় তারাও দায়িত্বভার নিতে পারেননি। প্যানেল মেয়র-৩ কোহিনুর ইসলামসহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে সমর্থন করায় মন্ত্রণালয় মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করে।

পাঠকের মতামত: