ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জেএসসি-জেডিসিতেও এমসিকিউ থাকছে না

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায়ও এমসিকিউ আর থাকছে না। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই দুই পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জাগো নিউজকে এই কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, জেএসসি ও জেডিসিতে এমসিকিউ আর থাকছে না। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আমরা এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য পরীক্ষায়ও বড় ধরনের পররিবর্ত আনা হবে।

‘এবার জেএসসি ও জেডিসিতে নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন তুলে দিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেয়া হবে। প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে’-জানান সচিব।

এর আগে ওই সভায় সোহরাব হোসাইন বলেন, চলমান পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা হলে প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে আমরা পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার আলোকে চলতি বছর শুরু হতে যাওয়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় পরিবর্তন আনা হবে।

তিনি বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সভা করা হবে। সেখানে অনেকের মতামত নিয়ে কী কী পরিবর্তন আনা যায়, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতে পারে।

গত ৩ এপ্রিল প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এ বছর থেকেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও এমসিকিউ থাকছে না বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

আজকের সভায় জেএসসি ও জেডিসির প্রশ্নে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের সব প্রশ্নফাঁস হওয়ার ঘটনা যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, শুধু নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষার আগে কিছু মানুষের হাতে তা চলে গেছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে ভাবার বিষয় এসেছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আগামী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় বড় ধরনের সংস্কার ও পরিবর্তন আনা হবে।

তিনি বলেন, আগামী জেডিসি-জেএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউতে নম্বর কমানো হতে পারে বা এককথায় উত্তর যুক্ত করা হতে পারে, অথবা সৃজনশীল আকারে প্রশ্ন দেয়া হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অতিশিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: