ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইসলামাবাদ-বাশঁঘাটায় মুক্তিযোদ্বা রাজামিয়া সেতুর নির্মান কাজ পুরোদমে চলছে : খুশিতে উৎফুল্ল লোকজন

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :

ককসবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ইসলামাবাদ (বাশঁঘাটা) সংযোগ পথে রয়েছে খরস্রতা ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদী। এই ঐতিহ্যবাহী ও পুরনো নদী পার হতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ আর দূর্গতি। তবে এ দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিশাল এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় লোকজন। সেখানে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ককসবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এসটিএম রাজা মিয়ার নামে নামকরণ করে বিগত পহেলা নভেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল। সেতু নির্মানের ফলে হাজার হাজার লোকজনের মাঝে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরনে জনমনে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘকাল পর সেতু নির্মানের কাজ করায় খুশিতে আত্মহারা এলাকাবাসী। তবে বয়োবৃদ্ধ জানান, এসটিএম রাজামিয়া সেতু দ্রুত সময়ে নির্মিত হলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে । সুফল বয়ে আসবে সবক্ষেত্রে। দুয়েকজন তরুন জানান, এমপি কমল সেতু নির্মাণের ওয়াদা দিয়েছিল। তিনি তা পূরণ করতে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে হরিপুর এলাকার ঐষুদ কোম্পানীর প্রতিনিধি সুজিত আচায্যে আজকের ককসবাজারের প্রতিনিধিকে হাস্যেজ্জল কন্ঠে জানান, এ সেতুর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বহুকালের পুন্জিবিত ক্ষোভ কাটিয়ে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই জন্য বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে অভিবাদন জানান। তবে স্থানীয় লোকজনের মতে, দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে নির্মানাধীন সেতুটি টেকসই ও মজবুত ভাবে করার প্রতি আহবান কতৃপক্ষের নিকট। ৩০ এপ্রিল এ প্রতিনিধি সেতু নির্মান কাজ দেখতে গেলে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘকাল ধরে এ সেতুর অভাবে নানা ভাবে কষ্ট পেয়ে আসছিল এলাকাবাসী। দূরবর্তী স্থান হয়ে এলাকার অসহায় লোকজনদেকে প্রযোজনীয় কাজে কর্মে ঈদগাঁও বাজারে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অতি কষ্টের বিনিময়ে তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যাতাযাত করছে। কষ্টের কথা বিবেচনা করে এলাকার সচেতন লোকজন প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুলন্ত ব্রীজের আদলে কাঠ দিয়ে কোন রকম একটি সাঁকো নির্মান করে। সেটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও জন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এবার সেতু নির্মানের ফলে বিশাল এলাকাবাসী কষ্ট থেকে অনায়াসে পার পেতে যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: