ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের তহবিলে অনিয়ম, তদন্তে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা ছালেহ আহমদ চৌধুরী প্রাথমিকভাবে তদন্তকার্য শুরু করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ওই পদে আসার পর জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতিতে। শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের পাঁচটি দোকানঘর ও আবাদি জমি প্রকাশ্যে ইজারা না দিয়ে মনগড়া বরাদ্ধ দেন লোকজনকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, উন্নয়ন কাজের নামে মিথ্যা বিল ভাওচার সৃজন করে অর্থ আত্মসাত, যাতায়াত ও অফিস খরচের নামে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।

এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী অনুমোদনের নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে কোন ধরণের আয়-ব্যয় অনুমোদন করেনি। মূলত: স্কুলের কমিটি না থাকা সত্ত্বেও এডহক কমিটির মাধ্যমে তিনি তৎকালীন সময়ে জালিয়তির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়েছেন। যা জনবল কাঠামো নির্দেশিকা ১৮ (১)(ঘে) এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি বলে জানান অভিভাকরা।

অনিয়মের ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক জুনাইদুল হক বাদী হয়ে সচিব-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর ঢাকা, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, চেয়ারম্যান-দূর্নীতি দমন কমিশন, চেয়ারম্যান-চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, উপপরিচালক-চট্টগ্রাম অঞ্চল, শিক্ষা অফিসার কক্সবাজার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার চকরিয়াসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, প্রধান শিক্ষক অনিময় করে থাকলে তা পূর্বের কমিটির বিষয়। তাতে প্রধান শিক্ষক অপরাধী হলে পূর্বের কমিটির সংশ্লিষ্টরাও অপরাধী হবেন। তাই তদন্তে কি উদঘাটন হয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।

এ দিকে অভিযোগের পর গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজার জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবিভাগ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন। প্রথামিক তদন্তকার্যে নেতৃত্বে দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা ছালেহ আহমদ চৌধুরী। #

পাঠকের মতামত: