ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

বাল্যবিবাহ ও মাদক যুব সমাজ ধ্বংসের অশনি সংকেত -চকরিয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া ::সরকার দেশকে বাল্য বিবাহ ও মাদক মুক্ত করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন সংসদে পাশ করেছে।শুধু সরকারই নয়, মাদককে সমাজ থেকে মূল উৎপাটন করতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।বাল্যবিবাহ এবং মাদক যুব সমাজ ধ্বংসের প্রধানতম অন্তরায়।কারণ যুব সমাজের পাশাপাশি মাদকের দিকে স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও শিশুরাও ঝুঁকে পড়ছে।এটা যে কোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য বড় অশনি সংকেত।

২৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে থানা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মাদক, জঙ্গীবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ নিরোধ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক এক আলোচনা সভায় কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো: মতিউল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন,দেশে চলমান পরিস্থিতিতে মাদক নামক জিনিষটা সমাজের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে অনুপ্রবেশ করে সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এটার জন্য মূলত আমরা সকলই দায়ী।এ ভয়াবহ মাদকের গ্রাস থেকে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষির্থীদের প্রথমে জনমত গড়ে তুলতে হবে।এছাড়াও দেশকে  জঙ্গিবাদ ও নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল একটি ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মানুষ হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত রয়েছে তারা কখনও ইসলাম ধর্মের লোক হতে পারে না।মূলত এক শ্রেণীর লোক ধর্মকে অপব্যবহার করে স্কুল ও কলেজ লেভেলের শিক্ষির্থীদের টার্গেট করে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পথভ্রষ্ট করে জঙ্গীবাদের দিকে আকৃষ্ট করে।

এরই বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানান।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও থানা কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার এস আই এনামুল হকের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত হয় মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ নিরোধে সচেতনতামূলক সভা।

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।তিনি বলেন,একজন শিক্ষার্থী তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে পুরো সমাজের চিত্র পাল্টে দিতে পারে।সমাজের মাদক,বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিংয়ের মতো যে সমস্ত নানা অপরাধ কর্মকান্ড ও অশংগতি দেখা দেয় তা প্রতিরোধ করতে একজন শিক্ষার্থীর ভুমিকা অপরিসীম।

তিনি আরো বলেন,বর্তমান স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের আড্ডায় পড়ে দিনদিন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।এ ব্যাপারে শিক্ষকদের ভুমিকার পাশাপাশি অভিভাবকদের কঠোর পর্যায়ে তাদের ছেলে-মেয়ে ও সন্তানদের কর্মকান্ডের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।আর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছাত্রীদের যাওয়া-আসার পথে যে সব বখাটে যুবকরা মেয়েদের দেখলে বিরূপ ধরণের মুখে শিশ দিয়ে বাচনভঙ্গি মাধ্যমে ইভটিজিং করে তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইনের হাতে তুলে দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি বলেন,দেশকে উন্নয়ন ও আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বেরবুকে পরিচিতি লাভ করতে সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে।এখনো এমন কিছু সমাজ রয়েছে যে সমাজে তাদের পিতা-মাতা কমবয়সী মেয়েদের বাল্যবিবাহ পিড়িঁতে বসায়।১৮বছরের নিচে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন মেয়েকে বিবাহ না দেয়ার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: