ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে মামলা

আবদুর রাজ্জাক, কক্সবাজার : 

পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে মামলা  হয়েছে। গতকাল মৃতের স্বামী এ মামলাটি দায়ের করে।

জানা যায় ,  আয়েশা বেগম (২৮) নামের  এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজারের পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার রুবেল সাদাত চৌধূরীকে ১ম ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোন্তাজির কামরান জাদিদ মুকুটকে ২য় আসামী করে গতকাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত,চকরিয়া,কক্সবাজারের নিকট নিহত প্রসূতির স্বামী ফজল করিম বাদি হয়ে ফৌজদারী অভিযোগ (যাহার নং-৩৯১/২০১৮ ইং) করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অফিসার ইনচার্জ(ওসি) পেকুয়াকে নির্দেশ প্রদান করেন। নিহত প্রসূতি আয়েশা বেগম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়া গ্রামের দিন মজুর ফজল করিমের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
আরো জানা যায়,নিহত সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা প্রসূতি আয়েশা বেগমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার স্বামী ফজল করিম তাকে গত ১৪ এপ্রিল কক্সবাজার জেলার পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের এমবিবিএস চিকিৎসক রুবেল সাদাত চৌধূরী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বল্লে তার স্বামী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক রুবেল সাদাত চৌধূরী তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পর বলেন যে ,প্রসূতি আয়েশা বেগমের গর্ভের ভিতর বাচ্চার সমস্যা হয়েছে এবং এক্ষুনি একজন মহিলা গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ডিএনসি করে তা বের করতে হবে। এদিকে মহিলা গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ডিএনসি করার কথা থাকলেও ডিএনসি করেন খোদ ডাক্তার রুবেল সাদাত চৌধুরী নিজেই। ডিএনসি করার ১ঘন্টার পর থেকে আয়েশা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে
চিকিৎসক রুবেল সাদাত তাকে তাড়াতাড়ি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বল্লে তার স্বামী তাকে গত ১৭ এপ্রিল দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হ্সাপাতালে নিয়ে আসে এবং চিকিৎসারর ব্যবস্থা করে।এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসকরা আয়েশা বেগমকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বলেন যে, তার জরায়ুর মুখাবয় ও প্রসাবের নাশিকা কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার শরীরে প্রচুর রক্ত শুন্যতা দেখা দিয়েছে ফলে তার শরীরে প্রচুর পরিমান রক্ত দিতে হবে এবং রোগীর অবস্হা আশংকাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।এদিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দৈনিক ৫ পাউন্ড করে রক্ত দেয়ার পরও আয়েশা বেগম অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পাঠকের মতামত: