ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঈদগাঁওতে একটি ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগে পড়েছে ভাদীতলা ও শিয়াপাড়াবাসী

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::   কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের পালপাড়া হয়ে ভাদীতলা, শিয়াপাড়াসহ ভোমরিয়াঘোনায় যাতায়াতের মাধ্যম গরুর হালদা সড়কে দীর্ঘ পনের বছর ধরে একটি ব্রীজের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে এলাকাবাসী। সে দাবী এখনো অপূূর্ণ থেকে গেছে। কাঠের সাঁকো দিয়ে চরম ঝুকিঁ নিয়ে পারাপার করছে বৃহত্তর এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা। উপড়ে যাচ্ছে সড়কের মাটি। কাঠগুলো লঙ্কর ঝঙ্কর হয়ে যাচ্ছে। নিচের খুটি গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা। এতে করে দেখার কেউ না থাকায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। এটি দিয়ে অন্তত ৩/৪ হাজার মানুষের চলাচলের সড়কটি মরন ফাঁদে পরিনত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো হয়ে স্কুলে, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারন লোকজনদের পথচলা প্রতিনিয়ত। স্থানীয় এলাকাবাসীর চলার একমাত্র ভরসা গরুর হালদা সড়কটির মাঝপথে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দুয়েক বছর আগে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। চলাফেরা করতে ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয়দের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় একটি কাঠের সেতু নির্মান করলেও তা দিন দিন ঝুঁকির দিকে ধাবিত হচ্ছে । অধিকংশ খুঁটি নষ্ট হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে কাঠের সাঁকোটি ভেঙ্গে যেতে পারে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে অসহায় লোকজন চরম আতংকে থাকে। বর্তমানেও স্বাভাবিক ভাবে পারাপার অনেকটা ঝুঁকি হয়ে পড়ছে স্থানীয়দের মতে। তবে রিকসা চালক আবু তাহের জানান, কাঠের সেতুটি ব্রীজ আকারে নির্মাণ না হওয়ার চলাচলে অনেকটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে শিয়া পাড়ার দিনমজুর মনজুর আলম হতাশ কন্ঠে আজকের ককসবাজারকে জানান, আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ ঝুকিঁপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতাযাত করে আসছি। বিগত দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও বর্তমান জনপ্রতিনিধির শাসনামলেও এই কাঠের সাঁকোটি ব্রীজে রুপান্তরিত হচ্ছে না। কবে হবে সে আশায় বুক বেধে বসে আছি। পালপাড়ার সুপন জানান, দৈনিক হাজার হাজার মানুষজন চলাচল এ ভাঙ্গা সাঁকো পার হয়ে। দ্রুত ব্রীজ নির্মান এখন সময়ের গনদাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী এবং রোগীদের যাতায়াতে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। এটির প্রতি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনজর দেওয়া একান্ত জরুরী। তবে এলাকাবাসীর দাবী, অতি সত্ত্বর ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি টেকসই ব্রীজ স্থাপন করে জন ও যান চলাচলে সূর্বন সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। অন্যতায় আসন্ন বর্ষামৌসুমে এলাকাবাসীকে মরন দশায় ভোগতে হবে।

পাঠকের মতামত: