ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সাত দফা দাবীতে রাজপথে ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
দাবী আদায়ে সাতদফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্মরত ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে দুই ইন্টার্ণ চিকিৎসককে মারধর করে রোগির স্বজনেরা। এঘটনায় চারঘণ্টা চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে সদর হাসপাতালে। এছাড়া ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ওই রোগিকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।
গত মঙ্গলবার সাত দফা উল্লেখ করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিতভাবে দাবী জানান। ওই দফা গুলো হলো- ১, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় না আনা এবং তাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা সকল চিকিৎসাসেবা প্রদান থেকে বিরত থাকবে। ২, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘণ্টা আনসার মোতায়েন করা। ৩, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড, করিডোর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা। ৪, রাত্রীকালিক ডিউটিরত চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৫, ওয়ার্ডে ভর্তিরত রোগির সাথে আগত দর্শণার্থীর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। ৬, কেবিন প্রদানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৭, প্রতিটি ডিউটিরুমের সাথে আন্ত:সংযুক্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ঘণ্টার ব্যবস্থা করা।
এদিকে এই সাত দফা বাস্তবায়নের দাবীতে বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করে ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা। মানববন্ধনে সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।
ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মোসাব্বির হোসাইন তানিম বলেন, হামলার দীর্ঘক্ষণ পার হলেও এখনো প্রকৃত অপরাধীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লিখিত সাতটি দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের অনড় থাকবো। কারণ এখন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইন্টার্ণ চিকিৎসকেরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের মানববন্ধনের বক্তব্য দেন হাসপাতালের চিকিৎসক আশিকুর রহমান।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ৫৫ জন ইন্টার্ণ চিকিৎসক রয়েছেন। তারা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আন্দোলনে যাওয়ার কারণে এখন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে।

পাঠকের মতামত: