ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে জলকেলি উৎসবের জন্য প্রস্তুত রাখাইন সম্প্রদায়

নিউজ ডেস্ক ::

শুরু হয়েছে রাখাইন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব জলকেলি বা সাংগ্রাই। মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ এপ্রিল থেকে চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে এখন থেকে বাড়িতে এবং ধর্মীয় উৎপসনালয় গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এর ধারাবাহিতকায় গতকাল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় গুরুকে স্নান করানো সহ বৌদ্ধ প্রতিমাতে চন্দন কাঠের পানি দিয়ে স্নান করানোর আনুষ্টানিকতা হয়েছে। আজ থেকে পাড়ায় মহল্লায় শুরু হবে আরো জোর প্রস্তুতি।
রাখাইন বু্িড্ডস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মংক্য রাখাইন বলেন, কক্সবাজার শহর জলকেলির প্যন্ডেল হবে ৭ টি, এছাড়া জেলার চকরিয়ার হারবাং, রামু , খুরুশকুল, চৌফলদন্ডি, মহেশখালী সহ মোট ১৬ টি প্যান্ডেল হতে পারে।
তিনি জানান, বাংলা হিসাবে পহেলা বৈশাখ পালন হয়েছে ১৪ এপ্রিল। আর সনাতন ধর্মীয় হিসাবে পঞ্জিকা অনুসারে পহেলা বৈশাখ ১৫ এপ্রিল আর রাখাইনদের পহেলা বৈশাখ হয় গ্রহ নক্ষত্র হিসাব করে সে হিসাবে ১৭ এপ্রিল আমাদের পহেলা বৈশাখ। আর জলকেলি উৎসব এটি আমাদের সভ্যতাও সংস্কৃতির অংশ। আমরা মনে করি জলের স্পর্সে আমরা পূর্ণ হব। আমাদের আগামীর দিন গুলো ভাল সুন্দর হবে।
এদিকে গতকাল সকালে শহরের ফুলবাগ সড়কের সামনে এবং বার্মিজ মার্কেট এলাকার বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী বর্নিল পোষাকে সেজে বাদ্যযন্ত্র সহ তাদের নিজস্ব আকর্ষনীয় পাত্রে ধর্মীয় গুরুর জন্য কলা, দুধ সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে কক্সবাজারের প্রধান বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সৃস্টি কর্তার কাছে আগামী বছরের জন্য কল্যাণ কামনা করেছে। এ সময় আলাপ কালে আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছেন ছেন রাখাইন বলেন, জলকেলি উৎসব আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এই ৩ দিনের জন্য আমারা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করি। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকজন বান্ধবি মিলে একই রকম কাপড় সেলাই করেছি, এবং অনেক জায়গায় ঘুরার জন্য প্রস্ততি নিয়েছি।
আলাপ কালে তরুন মং ছিন বলেন, আজ থেকে শুরু হওয়া জলকেলি উৎসব নিয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের পুরোনো বন্ধুরা যারা জেলার বাইরে থাকে তারাও এসেছে সবাই মিলে খুব মজা করবো। আমরা ৩ দিনের জন্য বাদ্যযন্ত্র ঠিক করেছি। শেষের দিনে জন্য গাড়ি ঠিক করেছি। আর সব বন্ধুরা নতুন কাপড় কিনেছি। সব মিলিয়ে জলকেলি উৎসব আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ একটি উৎসব।
এদিকে সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, রাখাইন সম্প্রদায়ের জলখেলি বা সাংগ্রাই উৎসব যাতে নিরাপদে নির্বিঘেœ হয় সে জন্য পুলেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া রাতেও পুলিশের প্রহরা থাকবে বলেও জানান। তবে উৎসব পালনের নামে কেউ যেন বিশৃংখলা সৃস্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।
এদিকে জলকেলিউৎসবে কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায় সহ জেলা বাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এথিন রাখাইন। তিনি বলেন, সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো এবং আগামী দিন গুলো সবার জন্য মঙ্গল হোক সেটাই প্রত্যাশা করছি।

পাঠকের মতামত: