ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি

নীতিশ বড়ুয়া :

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাইমুম সরওয়ার কমলকেই মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। মনোনয়নের বিষয়টি এখন অনেকটা চুড়ান্ত। নির্বাচনের প্রস্ততি নিতে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজার সফরে এসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এ নিদের্শ দেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কক্সবাজার সদর-রামু আসনে সাইমুম সরওয়ার কমলই দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এনামুল হক শামীম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের করণীয় নিয়ে দলের প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রথম যে পঁচিশ জন সংসদ সদস্যকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে, সাইমুম সরওয়ার কমল তাদের মধ্যে একজন। গত ৩০ ডিসেম্বর রামুতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক, আওয়ামীলীগের অন্যতম মূখপাত্র, সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে আগামীতেও নৌকার মাঝি হিসেবে পরিচয় করে দিয়ে রামু-সদর আসনের ভোটারের কাছে ভোট চেয়েছেন।

সাইমুম সরওয়ার কমলের মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার খবরে তৃণমূলে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করার পাশাপাশি নির্বাচনে বিজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ (সদর রামু) আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১ মার্চ রামুর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব মিউজিক’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, কক্সবাজার (সদর-রামু) আসনে সাইমুম সরওয়ার কমলকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। আপনারাদের প্রিয় কমলকে আগামীতেও নৌকা প্রতীককে ভোট দিয়ে কক্সবাজারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার গত ৯ ডিসেম্বর রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের গ্রাউন্ড ব্রেকিং এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কক্সবাজারে অব্যহত রাখতে সাইমুম সরওয়ার কমলকে আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুরিষ্ট জোন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। আর এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখানকার সুযোগ্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী পদে রাখতে কক্সবাজার-৩(সদর-রামু) আসনে কমলকে নৌকা মার্কায় ভোটে দিয়ে জয়ী করা আহবান জানান তিনি।

কক্সবাজার-৩ আসনে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বন্যা-দূর্যোগসহ যে কোন দুঃসময়ে তিনিই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অসহায় মানুষের পাশে। বিগত দশ বছর ধরে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সার্বক্ষনিক সময় দেওয়া এমপি কমল মানুষের দুঃসময়ে তাৎক্ষনিক ভাবে শুকনো ও রান্না করা খাবার নিয়ে ছুটে গেছেন রামু-সদরের দুর্গত এলাকায়। একই সাথে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে পৃথক ভাবেও বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন।

নিজের নির্বাচনি এলাকার পাশাপাশি ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে বন্যায়, নেপালে ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছেন এমপি কমল। সম্প্রতি মায়ানমার থেকে আসা নির্যাতিত, অসহায় রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত সাংসদ কমল রামুবাসির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে একশত এক ট্রাক চাল উপহার দিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

মায়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের অমানবিক নির্যাতনে বিশ্বে এমপি কমলই সর্বপ্রথম নেতা মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছেন। রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সাইমুম সরওয়ার কমলকে সাধারণ জনগন এখন মানবতাবাদী নেতা হিসেবেও জানেন।

১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে রামু ও সদর উপজেলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার ৫ গুণ বেশী উন্নয়ন হয়েছে সাইমুম সরওয়ার কমলের সময়ে। অতীতের অনেক সাংসদ সরকারি বরাদ্ধের টাকা দিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করতেও এলাকাবাসি দেখেছেন। অনেক সাংসদকে সংসদে বসে ঘুমাতেও কক্সবাজারসহ দেশবাসি দেখেছেন। সাইমুম সরওয়ার কমল একদিকে সরকারি বরাদ্ধে রামু ও সদর উপজেলায় উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকার চিত্র পাল্টে দিচ্ছেন, অন্যদিকে নিজের অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে অনুকরনীয় নেতা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল মহান জাতীয় সংসদে কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার অবহেলিত এলাকার চিত্র তোলে ধরে বক্তব্য রেখে মাননীয় স্পীকার কর্তৃক শ্রেষ্ট বক্তার স্বীকৃতি লাভ করে কক্সবাজারবাসিকে ধন্য করেছেন। সম্প্রতি মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়েও সংসদে তাঁর দেয়া বক্তব্য দেশে বিদেশে প্রসংশিত হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে জাতিসংঘ সদর দপ্তর, কোরিয়ান পার্লামেন্ট ও চীনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রেখে এমপি কমল সরকারের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছেন, গর্বিত করেছেন রামু-কক্সবাজারবাসিকে।

সাংসদ কমলের নেতৃত্বে চার বছরে রামু হয়েছে শিক্ষা নগরী। রামুতে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলো ১৭ টি। সাইমমু সরওয়ার কমল এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র চার বছরে রামুতে প্রতিষ্ঠা হয়েছে আরো ১২টি উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া প্রতিটি পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন তিনি। এমপি কমলের প্রচেষ্টায় রামু ডিগ্রী কলেজ প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর হয়। বর্তমানে সরকারি করন প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে। অন্যদিকে রামুর শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করন করা হয়েছে এমপি কমলের প্রচেষ্টায়। সাইমুম সরওয়ার কমল সদর ও রামু উপজেলায় ১৫ হাজারের অধিক বেকারকে চাকরির ব্যবস্থা করে যুব সমাজের প্রাণস্পন্ধন হিসেবেও পরিচিত।

গ্রাম পর্যায়ে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কার্লভার্ট নির্মাণ এমপি কমলের সময়ে চোখে পড়ার মতো দৃশ্যমান। তাঁর উন্নয়নের কারনেই সদর ও রামু উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে তার সমর্থিতরাই বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাছাড়া বিএনপির অনেক প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় নেতারা শেখ হাসিনা সরকার ও এমপি কমলের উন্নয়ন দেখে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলায় এমন কোন গ্রাম নেই। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার প্রতিটি পাড়ায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি কম হলেও দশবারের অধিক সময় গিয়ে মানুষের খবরা খবর নিয়েছেন। এলাকার চিত্র নিজ চোখে দেখে উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়ার উন্নয়ন অতীতের সকল কিছুকে ছাড়িয়েছে, যা এখন দৃশ্যমান। রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী জনপদ সমুহে বিদ্যুৎ ছিলো ওই এলাকার মানুষের স্বপ্ন। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর অবহেলিত এলাকার মানুষের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরন সিষ্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিন ইউনিয়নে ১৮ কিলোমিটার এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় এনেছেন। সম্প্রতি কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বৃহত্তর উখিয়ারঘোনায় পাঁচ কিলোামটার বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন হয়েছে। গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে চলমান বিদ্যুতায়নের কাজ চলতি মাসে শেষ হলেই ওই এলাকার বিদ্যুতায়ন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। বলতে গেলে ৪৩ বছরের উন্নয়নকে ছাড়িয়ে গেছে এমপি কমলের ৪ বছরের উন্নয়ন।

দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছাতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত, বন্যা দুর্গতকালে মানুষের পাশে থেকে সাহার্য্যরে হাত প্রসারিত, সার্বক্ষনিক মানবসেবায় নিয়োজিত, উন্নয়নের কর্ণধার, মহান জাতীয় সংসদের অন্যতম শ্রেষ্ট বক্তা, মানবতার সেবায় দেশে বিদেশে প্রশংসিত, মানবতাবাদি নেতা সাইমুম সরওয়ার কমল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে আগামীতে কক্সবাজারবাসির কাছে মন্ত্রী হিসেবে আসুক এমনটি প্রত্যাশা এখন রামু-কক্সবাজারবাসির।

 

পাঠকের মতামত: