ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সেক্স রোবট বিপ্লব ও সতর্কতা

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক ::

প্রযুক্তির ধারাবাহিকতায় মানুষের যৌন জীবনেও এসেছে পরিবর্তন। বিশ্ববাজারে বিভিন্ন দেশে এখন প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সেক্স রোবট ও যৌন সামগ্রি। এর ফলে মানুষের রুচির পরিবর্তন আসছে। তবে প্রযুক্তিবিদরা ভয়ংকর এক বিপদ সংকেত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই ধারা চলতে থাকলে সেক্স রোবট পুরো মানবতাকে চিরদিনের জন্য পাল্টে দিতে পারে। কারণ, এর ফলে মানুষের যৌন চাহিদা মেটানো অধিকতর সহজ হয়ে পড়বে।
এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সমাজে। কমপিউটার বিজ্ঞানী নোয়েল শারকি এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। সেক্স রোবট সমাজে এমন পরিণতি ডেকে আনবে এমন সতর্কবাণী সত্ত্বেও কিন্তু বাজারে ক্রমবর্ধমান হারে এর চাহিদা বাড়ছে। ‘সেক্স রোবটস অ্যান্ড আস’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রে এসব কথা বলেছেন নোয়েল শারকি। তিনি সতর্ক করেন, সেক্স রোবটের যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। কারণ, মানুষের মানবিক, জৈবিক চাহিদা পূরণ খুব সহজ হয়ে যাবে। তখন একজন নারীকে একজন পুরুষের প্রতি বা একজন পুরুষকে একজন নারীর প্রতি আবিষ্ট হতে দেখা যাবে না। নোয়েল শারকি কাজ করেন ফাউন্ডেশন অব রেসপনসিবল রোবোটিকস-এ। তিনি অতীতেও সেক্স রোবট সম্পর্কে বিপদ সংকেত দিয়েছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেক্স রোবটকে মানবীয় গুণ দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানী বা এ শিল্পে নিয়োজিতরা। গত বছরের শেষের দিকে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, কিছুদিনের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ মানুষ রোবটের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে তাতেই তৃপ্তি মেটাবে। প্যারিসভিত্তিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান হাভাস থেকে এ বিষয়ে জরিপ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সসীমার মধ্যে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ এমন সম্পর্ককে বেছে নেবে। এতে আরো বলা হয়, নারীদের তুলনায় এমন সম্পর্কে তিনগুন বেশি আগ্রহী পুরুষরা। এরই মধ্যে জার্মানিতে চালু হয়েছে সেক্স রোবট দিয়ে প্রথম পতিতালয়। গত বছরই তা চালু হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ডল-অনলি’। জার্মানি ও অস্ট্রিয়াতে পতিতালয়গুলোতে সেক্স রোবট ব্যবহারের বৈধতা রয়েছে। জার্মানির প্রতি ৫ জনের একজন বলেছে, তারা সেক্স রোবট কিনে নেবে। এমন জরিপ প্রকাশিত হয়েছে জানুয়ারিতে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫টি প্রতিষ্ঠান এমন সব রোবট তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। এর প্রতিটির দাম পড়ছে ৫৪০০ থেকে ১৫ হাজার ডলারের মধ্যে। আর এর যে ক্রেতা তার প্রায় পুরোটাই হলো পুরুষ। এত বড় বাজার তৈরির পর নির্মাতারা আরো বাস্তবধর্মী রোবট তৈরির পরিকল্পনা করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের প্রকৃত পার্টনারের মতো আচরণ করবে সেক্স রোবট।

পাঠকের মতামত: