ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে বর্ণিল মাঠে হাজারো ছাত্রীর কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মূর্চনা

সোয়েব সাঈদ, রামু ::

লাল-সবুজের শাড়িতে সেজেছে হাজারো ছাত্রী। উপরে বিশাল জাতীয় পতাকা। বর্ণিল মাঠে হাজারো ছাত্রী সমবেত কন্ঠে গেয়ে উঠলো জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে, ওমা আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি, সোনার বাংলা’। সহ¯্র কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনকালে মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড় সূরের মূর্ছনা।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম এ ব্যতিক্রমী আয়োজনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একহাজার ছাত্রী। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান আলি’র নির্দেশনায় সম্পন্ন হওয়া এ আয়োজন সর্বত্র সাড়া জাগিয়েছে। যা অনুষ্ঠানে আসা অতিথিবর্গ এবং সংস্কৃতিকর্মীদেরও অনুপ্রাণিত করেছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রামু স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে লাল-সবুজ শাড়ি পরে সহ¯্র কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনকালে মাঠে শোভা পায় ১০০ ফুট দীর্ঘ জাতীয় পতাকা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনকালে উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম লিয়াকত আলী, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এম জয়নাল আবেদীন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য ইউনুচ রানা চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী সদস্য গিয়াস উদ্দিন কোম্পানীসহ গনমান্য ব্যক্তিবর্গ।

রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি জানিয়েছেন, স্বাধীনতার চেতনায় নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সহ¯্র কন্ঠে ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের এ উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।

এ আয়োজনের সমন্বয়ক সহকারি শিক্ষক সুমথ বড়–য়া জানিয়েছেন, ঢাকায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের হাজারো ছাত্রী সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনে আরো অংশ নেন, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোতাহেরা বেগম, সহকারি শিক্ষক শিপ্রা পাল, লাভলী বড়–য়া, মিনাক্ষী বড়–য়া, ক্রীড়া শিক্ষক আঙ্গুর বালা দাশ, ইসমত আরা, খুরশিদা বেগম, ছালাতম উল্লাহ, নিলুফা ইয়াছমিন, বিজয় লক্ষী, মিরাশ্রী দত্ত, হাসিনা বানু, পটল বড়–য়া, রনজিত কুমার দে, ইয়াছিন, লুৎফুন্নেছা প্রমূখ।

জাতীয় সংগীতে অংশ নেয়া বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রেরণা বড়–য়া স্বস্তি ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফরা বিন শামস্ জানিয়েছে, এতবড় পরিসরে জাতীয় সংগীতের আয়োজন তারা কখনো দেখেনি। এখন নিজেদের বিদ্যালয়ের আয়োজনে এভাবে অংশ নিতে পারায় তারা আনন্দিত। এভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন তাদের যেমন দেশপ্রেম শিখিয়েছে তেমনি জাতীয় সংগীতের প্রতি বাড়িয়েছে আকর্ষণ।

##############

রামুর খুনিয়াপালংয়ে ভূট্টা চাষের মাঠ দিবস পালিত

সোয়েব সাঈদ, রামু

রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দিকী বলেছেন, মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে। এ জন্য কৃষকদের ফসলের উন্নত জাত ও আধুনিক প্রযুক্তি যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। কারন খাদ্যের চাহিদা বাড়লেও কৃষি জমি কেবলই কমলে। সরকার কৃষকদের বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করছে। এ কারণে দেশের কৃষিক্ষেত্রে এসেছে সফলতা। ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম সফলতা অর্জনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।

তিনি মঙ্গলবার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং দারিয়ারদিঘী গ্রামে ভূট্টা চাষের মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রবি ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর আওতায় রামু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সমাজসেবক হাজ¦ী ছাব্বির আহমদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলী আহমদ, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা জাবেদ চৌধুরী, স্থানীয় সমাজসেবক কবির আহমদ, আনোয়ার কোম্পানী, মাস্টার সুলতান আহমদ। অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবদুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দিকী ধানি জমি পতিত না রেখে সেখানে ভূট্টা চাষ করা যায়। ভূট্টা চাষ সহজ এবং লাভজনক। ভূট্টা চাষ করে নিজেদের খাদ্য, পশু খাদ্য এবং জ্বালানীও সংগ্রহ করা যায়। ভূট্টা চাষ নিয়ে অনেকে অবগত ছিলো না। এখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী দেখে এখানকার কৃষকরা দিনদিন ভূট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ভূট্টা চাষিদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: