ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন হচ্ছে কুতুবদিয়া বাতিঘর

ফেরদৌসী তামান্না, কুতুবদিয়া থেকে ॥

বাতি ঘরের জন্য বিখ্যাত কুতুবদিয়ার বাতিঘরটি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। একই সাথে আড়াই‘শ ফুট উ্চতা সম্পন্ন কোষ্টাল রেডিও ষ্টেশন স্থাপন করা হবে একই স্থানে। আর এটি বাস্তবায়নে ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে নৌপরিবহণ অধিদপ্তর ও নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়। দ্বীপের ঐতিহ্য ও পর্যটন বিকাশ ছাড়াও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে বিশেজ্ঞদের অভিমত। ১৮৪৬ সালে তৎকালীন ব্রটিশ সরকার সাগরে জাহাজ চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং আলী ফকির ডেইল গ্রামে সমুদ্র ঘেঁষে ঐতিহাসিক বাতিঘর নির্মাণ করে। প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে এটি ৪ দশক আগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে লোহার ষ্ট্রাক্চারের উপর মোবাইল টাওয়ার সদৃশ আরেকটি বাতিঘর নির্মাণ করে সরকার। তবে বর্তমানে বাতিঘরের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তায় এটি আধুনকিায়ন করা জররী হয়ে পড়ে।

স্থানীয় আলী ফকির ডেইল গ্রামের স্বাস্থ্য কর্মী আবুল হাসনাত জানান, দ্বীপের ঐতিহাসিক বাতিঘরের স্মৃতি রক্ষার্থে এবং সরকারের অধিক রাজস্ব বৃদ্ধিতে আধুনিকায়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে সম্ভাবনার দ্বীপে পর্যটন বিকাশে অনেক ভ’মিকা পালন করবে আধুনিক বাতিঘর। সরকার সঠিক সময়ে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত দ্বীবাসির জন্য আশার আলো বলে তিনি মনে করেন।

বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্ট অধিপ্তরের সুপারিশ ক্রমে এটি আধুনিকায়নে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। জিএমডিএসএস এবং ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গত ১৬ মার্চ বাতিঘর ও কোস্টাল রেডিও ষ্টেশন এর ভিত্তিপ্রস্তু স্থাপন করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান প্রধান অতিথি হিসেবে এটির ফলক উন্মোচন করেন। দ্বীপবাসির জন্য আশার আলো যে,একই অনুষ্ঠানে কুতুবদিয়ায় সমুদ্র বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী শাজাহান খান।

বাতিঘর আধুনিকায়ন ও কোষ্টাল রেডিও ষ্টেশন স্থাপন প্রকল্পটি এলজি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার সুজন চৌধুরী বলেন, বাতিঘর আধুনিকায়ন করণ ও কোষ্টাল রেডিও ষ্টেশন স্থাপনে আমূল পরিবর্তনের আশা রয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পরেই কুতুবদিয়া হয়ে উঠবে পর্যটন বিনোদনের অন্যতম স্থান। নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের আওতায় বাতিঘর আড়াই‘শ ফুট উচ্চতার আধুনিকায়ন কোষ্টাল রেডিও ষ্টেশন পর্যটকদের আকর্ষনে বিরাট ভ’মিকা রাখবে। এছাড়া তিনি সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তায় ইতিমধ্যে কুতুবদিয়ায় পর্যটন বিকাশে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলে জানান। যার অনেকটাই বাস্তবায়নের পথে এখন। সব মিলিয়ে দ্বীপ কন্যা কুতুবদিয়া হবে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।

পাঠকের মতামত: