ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ৪২টি অবৈধ সংযোগ শনাক্ত করে কোটি টাকা জরিমানা আদায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

মাত্র দুবছরের মাথায় বাংলাদেশ বিদ্যূৎ উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া, লামা ও আলীকদম এলাকা প্রায় লোডশেডিং মুক্ত হয়েছে। পূর্বে মাত্র ১১ কেভি ফিডারকে দুইভাগে বিভাজন করে নতুন আরও ৫টি ফিডার সংযোজন এবং আজিজনগরের গজালিয়ায় নতুন ওসিআর স্থাপন করলে লোডশেডিংমুক্ত এলাকায় পরিণত হয়। এছাড়া পূর্বের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পাশাপাশি নতুন করে আরো আড়াই হাজার গ্রাহককে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ শনাক্ত করে ৪২ জনের কাছ থেকে ১কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বিউবো চকরিয়া অফিসের সহকারি আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোছাইন জানান, বর্তমান আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো গত ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর চকরিয়া অফিসে যোগদানের পর তাহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একের পর এক উন্নয়ন কার্য সম্পাদিত হয়ে আসছে। তিনি সর্বপ্রথম চকরিয়া, লামা ও আলীকদম এলাকাকে শতভাগ বিদ্যূৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে আপ্রান্ত প্রচেষ্টা চালান। ফলে এতদাঞ্চলে বিউবো‘র সুবিধাভোগি বিদ্যুৎ গ্রাহক প্রায় ২০ হাজারে দাঁড়ায়।

তিনি আরও জানান, শতভাগ বিদূ্যূৎ সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি লোডশেডিং মুক্ত করার কাজে হাতদেন আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো। পূর্বে মাত্র ১১ কেভি ফিডার হওয়ার কারণে অতিভারে চলছিল লাইন। পরে ফিডার দুটিকে বিভাজন করে আরও ৫টি ফিডার তৈরি করা হলে লোডশেংি মুক্ত হয়ে উঠে ওইসব এলাকা। আর আজিজ নগরে নতুন করে ওসিআর স্থাপন করায় দোহাজারী লাইন এখন ঘন ঘন বন্ধ হয়না।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানিয়েছেন, আবাসিক প্রকৌশলীর তদারকিতে তারা এখন নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা ও সরকারী পরিসেবা পাচ্ছেন।

বিউবো চকরিয়ার আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো জানান, তিনি যোগদানের পর চকরিয়া, লামা ও আলীকদম এলাকাকে শতভাগ বিদ্যূৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে এবং লোডশেডিং মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যেন অফিসে এসে বিভ্রান্তিতে না পড়েন সে জন্য প্রতিটি বিভাগকে আলাদা আলাদা করা হয়েছে। চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিদ্যূতের অবস্থা পূর্বের তুলনায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যূৎ পৌছে দেওয়া জননেত্রী শেখ হাছিনার ঘোষনা। বিদ্যূতের বর্তমান উন্নয়ন শেখ হাসিনার ঘোষনারই প্রতিফলন। তিনি চকরিয়ায় পূর্বের তুলনায় বিদ্যুত বিভাগে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বলে জানান। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সহ্য করতে না পেরে এলাকার কিছু কুচক্রি ও স্বার্থান্বেশী মহল পরিকল্পিতভাবে চকরিয়া বিদ্যুৎ অফিস নিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছে বলেও জানান।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, চকরিয়ায় বিদ্যুতের সেবা আরো বেশি নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি অচিরেই বিদ্যুত বিভাগের আমূল পরিবর্তনে বহুমূখী কমপ্লেক্স ভবন স্থাপন করা হবে বলে জানান এবং বিউবোর সেবা নিয়ে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত: