ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় জমি বিক্রিতে প্রতারণার অভিযোগে দলিল লেখক গ্রেফতার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় জমি বিক্রির নামে প্রতারণা ও দলিল জালিয়তির মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে টাকা লুটের অভিযোগে উপজেলা সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক ফরিদ আহমদ প্রকাশ ফরিদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। দুই ভুক্তভোগি ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত হাফেজ শাহ আলমের ছেলে ভুক্তভোগি আবদুর রহমান জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর আগে তার পিতা মরহুম হাফেজ শাহ আলমকে চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট এলাকায় ৩০ কড়া জমি বিক্রি করেন দলিল লেখক ফরিদ মুন্সি। ওই জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়ার পর ফরিদ মুন্সি মাত্র ১৮ কড়া জমি দখল দিয়ে আরও ১৩ কড়া জমির দখল না দিয়ে প্রতারণা করতে থাকে। এভাবে দীর্ঘ ১৮ বছর পার হলেও ওই জমির পরিপূর্ণ দখল অর্পণ করেনি।

ভুক্তভোগি আবদুর রহমান আরও জানান, ১৮ বছর পূর্বে জমির যে মূল্য ছিল তার চেয়ে বর্তমানে অনেক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিত ওই জমির দখল দিতে নারাজ ফরিদ মুন্সি। ফলে নিরুপায় হয়ে ইতিমধ্যে চকরিয়া থানার আশ্রয় গ্রহন করেন তিনি (আবদুর রহমান)। কিন্তু চকরিয়া থানার ওসিকেও কালক্ষেপন করতে থাকেন ফরিদ মুন্সি।

অপরদিকে অভিযুক্ত দলিল লেখকের বিরুদ্ধে একই ধরণের অপরাধের ঘটনায় চকরিয়া থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজারের বাসিন্দা প্রবাসী হাফেজ মোহাম্মদ জহির। জহিরের পরিবারের লোকজন জানান, তিনবছর আগে চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট এলাকা থেকে প্রবাসী হাফেজ মো: জহির ২২কড়া জমি ক্রয় করেন ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ওই জমির মূল্য ৫২লাখ টাকা হলেও দলিল লেখক ফরিদ প্রকাশ ফরিদ মুন্সি রেজিষ্ট্রি খরচ কমানোর কথা বলে দলিলে কৌশলে উল্লেখ করেন ৩০ লাখ টাকা। রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার পর জমির দখল দেননি ফরিদ মুন্সি। আজ দেবে, কাল দেবে বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন তিনি।

এ ঘটনায় প্রবাসি জহিরের পরিবারও চকরিয়া থানার ওসির কাছে আইনের আশ্রয় নেন। দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এসআই আলমগীরসহ থানা পুলিশের একটিদল অভিযান চালিয়ে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয় থেকে দলিল লেখক ফরিদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেন।

পাঠকের মতামত: