ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের হস্তক্ষেপে ইছমত আরা বেগম (১৫) নামের অপ্রাপ্ত বয়সের এক কিশোরীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে কণের পরিবারের লোকজন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন এক সন্তানের কথিত জনকের সাথে। বিয়ে নিয়ে দু’পরিবারের লোকজন সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে ফেলে। গতকাল রোববার বিকালে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নস্থ সাবান ঘাটা এলাকায় প্রশাসন এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের সাবান ঘাটা এলাকায় আব্দুল কাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা ইছমত আরা বেগম(১৫) সঙ্গে একই এলাকার এক সন্তানের জনকের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পরপরই তাৎক্ষনিক ভাবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে অবহিত করে।জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সংবাদটি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে বিয়েটা বন্ধের ব্যাপারে তাৎক্ষনিক ভাবে উদ্যোগ নেন। রোববার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলী নোমানের নির্দেশে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ কনের বাড়িতে পৌছে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে করে দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের পেশকার রতন কান্তি দাশ জানান, গতকাল হারবাংয়ে বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান চলার সংবাদ পাওয়া মাত্রই উপজেলা প্রশাসন দ্রুত হারবাং সাবান ঘাটা এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌছে। এতে দেখতে পাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ইছমত আরা বেগম নামের কন্যা শিশুর বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনসহ মেয়ের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাল্য বিয়ের নানা কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বাল্য বিয়ের নানা কুফল জানতে পেরে মেয়ের বাবাসহ পরিবার সদস্যরা নিজ উদ্যোগে অবশেষে বিয়েটি বন্ধ করে। ##

পাঠকের মতামত: