ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘জঙ্গি তৎপড়তাকে না বলেছি,মাদক’কেও না বলি !’

::: অরুন সরকার :::
অরুন সরকার,লেখক ও সাংবাদিক,ফাইলছবি।মাদককে না বলুন‘গুড়িয়ে দেন মাদকের আস্তানা’বাড়িয়ে দেন সহযোগীতার হাত দেখবেন অচিরেই মাদক ধ্বংস হয়ে গেছে । এজন্য তোমার আমার সকলেরই সহযোগীতার প্রয়োজন । ইতিমধ্যে দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জনসমাজকে রক্ষা করতে দেশ ও সমাজ থেকে মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন । তারজন্য সেই নেত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে ছোট করতে চাইনা । যেকোন ধর্মের ঘোরবিরুধি এ সর্বনাশা মাদক বন্ধে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক । তাই সে নেত্রীকে স্বাগত জানাতে হয় বারং বার । পাশাপাশি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও এখন মাদক থামাতে ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে বেশ সোচ্চার হয়ে ওঠেছে ‘তাই আমরা দেশের নাগরিকগণও সকল বেদাবেদ ভুলে গিয়ে মাদকমুক্ত দেশ গড়তে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে অচিরেই মাদকমুক্ত জন সমাজ গড়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ।’

এদিকে মাদকমুক্ত সমাজ রক্ষায় প্রশাসনের হাতকে শক্তিশালি করতে দেশের আইন আদালতের বিচারকদেরও এগিয়ে আসতে হবে । কারন মাঠ পর্য্যায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সকল মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের সিন্ডিকেট গ্রুপকে মাথার ঘাম পাঁয়ে ফেলে দিনরাত পরিশ্রম করে মাদক উদ্ধার ও মাদক গড ফাদারদের আটক করে আদালেতে সোর্পদ করেন তাদের জামিনের দিকে লক্ষ্য রাখা । নতুবা মাঠের কষ্ট সম্পন্ন ভেস্তে যায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর । দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে আদালতের বিচারকদেরও কঠোর হতে হবে । অন্যথায় বিফলে যাবে এসকল শত কষ্টের অভিযান । আমাদের মনে রাখতে হবে মা-মাটি মাতৃভুমি আমাদের সকলের । তাই সকলকে এবিষয়ে সজাগ থাকতে হবে‘ধরিয়ে দিতে হবে ধর্ম-বিরোধি এ মাদক দাতাদের’গুড়িয়ে দিতে হবে তাদের মাদকের স্বর্গরাজ্যকে ।

আমরা যদি একটু পেছনের দিকে ফিরে থাকায় তাহলে দেখতে পাই স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অন্যপেশার লোকেরাও দিনের পর দিন মাদকঝুঁকিতে হ্যস্থন্যাস্থ্য । জীবণ মৃত্যুর হলি খেলায় ঝুঁলছে তাদের পুস্পটিত (সুন্দর) একটি মানবজীবণ । তাই তাদের রক্ষায় এখনই আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে । তারাওতো সবাই আপনার আমার সকলেরই সন্তান । কোন বাবা-মা নিশ্চয় চাইবেন না যে তারা তাদের সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে জীবণ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ুক । সর্বনাশা মাদকে আশক্ত হয়ে বাবা-মা’র মান ক্ষুন্ন করুক । সেই দিকটা বিশেষ বিবেচনায় রেখে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয় ।

দেশ ও জাতীর মঙ্গলের কামনায় আমরা আমাদের জনসমাজকে সচেতন করে গড়ে তোলতে হবে । প্রত্যেকটি পরিবারের অবিভাবককে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে । আমাদের ভুললে চলবেনা ‘একটি শিশু তার পরিবার থেকে সবধরণের শিক্ষা পেয়ে তাকে এবং সেখান থেকে ওই শিশু বালক ধীরে ধীরে প্রতিবাদি হয়ে উটে । শুরু হয় তার জীবণের গতিপথ । তখন হালাল,হারাম সবকিছু নির্ভর করে অবিভাকদের দিক-নির্দেশনায় । যদি প্রত্যেকটি পরিবারের লোকেরা এ উদ্যোগ নেয় তাহলে মাদক নামক কাল সাপ দূর হবেনা সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা । প্রথমে পরিবার থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করলে থামবে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপও। হারাম ব্যবসা ছেড়ে সন্তানেরা খুব সহজেই ফিরে আসতে পারে একটি সুন্দর সাবলীল মানবজীবণে । গাছের গুড়ায় ঠিকসময়ে পানি ঢাললে গাছ যে খড়ায় মরে যাবে তা নয় বরং ঠিকই সেই গাছ সবুজ ছায়ায় গেড়ে যাবে চারদিকে । আর স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তথা সাংগঠনিক সভাসমাবেশেও মাদককে নিয়ে আলাপচারীতায় ভরিয়ে দিতে হবে জনসচেতনতার জন্য। ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে মাদকের চিরা-চরিত্র । দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে মাদকমুক্ত দেশ গড়ায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে । প্রতিটি আস্তানায় আস্তানায় হানা দিতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে প্রশাসনকে । সেই সূযোগকে কাজে লাগাতে প্রশাসনও নির্বীক ভুমিকা পালন করতে হবে যাতে অর্থ বাণিজ্যের লোপাটে তারা মাদক সম্রাটদের নিকট মাথা নত করতে না হয়।

এবার দেখতে হবে প্রশাসনকে দেশের কোন কোন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পন্থায় দেশে অনুপ্রবেশ করছে এই সর্বনাশা দেশি বিদেশী নিষিদ্ধকৃত মাদক । কে বা কারা বয়ে আনছে এ মাদক । সেই তালিকার চালিকা শক্তি কতদূর । অনেক সময় দেখাযায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মাদক আছে দাতা নেই ? মিডিয়ায় প্রেস রিলিজ পাঠানো হয় মাদক উদ্ধার হয়েছে কিন্তু মাদক সম্রাটরা উধাও ! কি সুন্দর প্রশাসন কর্তাব্যক্তিদের অভিযানের আলামত । এরকম আলামতের কারনে গোঠা দেশ এখন ছেয়ে গেছে মাদক বন্যায় । তাইতো আজ প্রধানমন্ত্রীর মুখেও সেই বাণী বেঁজে ওঠেছে মাদক নিয়ন্ত্রনে এগিয়ে আসুন,মাদক দেশ থেকে নির্মূল করুন আর কত শ্লোগান। পুলিশ,র‌্যাব ও বিজিবি’র মূখেও এখন একই জঁপমন্ত্র মাদক সিন্ডিকেটদের ছাড় নয় । অবশেষে এতদিন পরে তাদের মূখে শোনাগেল মাদক বন্ধের ধ্বনি । হ্যা আসুন আমরা সকলে মিলে এ মাদককে পরিহার করি আর একটি মাদকমুক্ত দেশ গড়ি । দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা আমাদেরকে সচেষ্ট রাখি সর্বদা । এদেশে আমরা ইতিমধ্যে জঙ্গি তৎপড়তাকে না বলেছি ঠিকই সেইভাবে মাদক’কেও না বলি !

পাঠকের মতামত: