ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অধিগ্রহণ না করেই উন্নয়ন কাজ, হুমকীতে ৫০০ বসতবাড়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্পের নামে চলমান কাজে নদী তীরবর্তী প্রায় ৫০০ বসতবাড়ী হুমকীতে পড়েছে।

ক্ষতির মুখে পতিত হচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষের বসতভিটা, মৎস্যঘের, গবাদিপশুর খামার, পোল্টিফার্ম, ফসলি জমি, খেতখামার। প্রায় ৩০০ একর অধিগ্রহণবিহীন জমিতে চলমান কাজের জন্য পানি উন্নয়নবোর্ডকে দায়ী করেছে স্থানীয়রা। তবে, কোন কর্তৃপক্ষ আসলেই কাজটি করছে তাও এলাকাবাসীর অজানা। এ বিষয়ে সোমবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা।

এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আতিক উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ৪/৫ মাস ধরে তাদের এলাকায় কাজ করা হচ্ছে। অথচ তাদের কোন ধরণের নোটিশ করা হয়নি। কোন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে তাও স্পষ্ট জানা যায়নি। ইতোমধ্যে সেখান থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পাথর বিক্রি করে টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে। এখনো পাথর উত্তোলন চলছে। অব্যাহত কাজের কারণে এলাকায় অন্তত ৫০০ বাড়ীঘর হুমকীতে পড়বে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।

তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজের সাথে আমরাও আছি। বাঁকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্পের পক্ষে এলাকাবাসী। কিন্তু মানুষের ক্ষতি করে নয়।

প্রকল্পটির নকশাধীন জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন। কিন্তু সেই জমি অধিগ্রহণ না করেই কাজ শুরু দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ কাজ বন্ধ রেখে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চালানো হোক। তাতে কারো আপত্তি থাকবেনা।

তার অভিযোগ, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙ্গন কবলিত অংশ হতে মাটি নিয়ে বাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছে। যা জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সাথে কাজ নিয়ে ক্ষোভও তৈরী হয়েছে। একাজকে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার বিশেষ অপচেষ্টা হিসেবে দেখছে অভিযোগকারীরা।

এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ বাবুল, অওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক গোলাম আরিফ লিটনসহ মান্যগন্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জমির অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ, বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষণে সামরাই খাল, ভরা বাঁকখালী ও রুমালিয়ারছরা মোহনায় ৩টি স্লুইচ নির্মাণের দাবী জানান।

সেই সাথে ব্রিজের পূর্বংশ থেকে গুদারপাড়ার শেষ সীমানা পর্যন্ত ব্লক ডাম্পিং ও প্রতিস্থাপন এবং প্রস্তাবিত বেড়িবাঁধের বাইরে থেকে মাটি উত্তোলন না করার অনুরোধ করেন।

পাঠকের মতামত: