ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে পাহাড়ে আগুন কোনো তথ্য মিলছে না, তদন্ত কমিটি

টেকনাফ প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের টেকনাফের সরকারি সংরক্ষিত পাহাড়ে একযোগে ৪০টি স্থানে আগুন ধরার ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। নাফ নদের তীরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনাটিকে অনেকেই নাশকতা বলে সন্দেহ করছে। তবে কারো কাছেই এ বিষয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য মিলছে না।

ঘটনা তদন্তে গতকাল শুক্রবার বন বিভাগ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তা ছাড়া  বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার নূর আহমেদ ঘোনা থেকে নাইট্যংপাড়া এলাকার পাহাড়ে একযোগে ৪০টি স্থানে আগুন লাগে। সংরক্ষিত বনে লাগা এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ছয় ঘণ্টা লেগে যায়।

স্থানীয় লোকজনের বেশির ভাগেরই ধারণা, পাহাড়টিতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আস্তানা গেড়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবদুল হাকিমের লোকজনই আগুন দিয়েছে। প্রায় ২৮ হাজার একর আয়তনের নাইট্যং পাহাড়টির বনজ সম্পদ ধ্বংস করে দিয়ে ক্রমেই রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এ রকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।

পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ আলম বলেন, ‘আমরা এখানে দুটি ব্যাপারে সন্দেহ করছি। একটি হচ্ছে মিয়ানমারে আরো রোহিঙ্গা আছে, এসব রোহিঙ্গাকে এখানে জায়গা করে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের এক ধরনের প্রস্তুতির অংশ হতে পারে এটি। অন্যটি হলো, রোহিঙ্গা বসতির কারণে বনজ সম্পদ থেকে বঞ্চিত স্থানীয় কিছু লোক ক্ষুব্ধ হয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’

টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া বলছেন, দুর্ঘটনাবশত হলে এক জায়গায় আগুন লাগার কথা। কিন্তু একযোগে ৪০টি স্থানে আগুন লাগা স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জাগায়। তিনি আরো বলেন, এর আগে রোহিঙ্গা শিবিরের আনসার ক্যাম্পে হামলা ও হত্যার ঘটনাসহ অনেক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবির জানিয়েছেন, তিনি গতকাল পাহাড়ে ঘটনাস্থলগুলো দেখতে গিয়েছিলেন। ১২০ একরের মতো বনজ সম্পদ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু পরিমাণ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: