এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহি বাসের সঙ্গে দুইটি প্রাইভেট নোহা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মাইক্রোবাস চালকসহ চারজন ঘটনাস্থলে নিহত ও ৬ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং ইছাছড়ি নামক এলাকায় ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।
ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ও চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। ওইসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেলা ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে সকাল ১০টার দিকে একই সড়কের উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় মোটর সাইকেল ও টমটম ইবাইক গাড়ির মধ্যে সংর্ঘষ ঘটে। এতে মোটর সাইকেল আরোহী যুবক চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামের শহর মুল্লুকের ছেলে শাহনেওয়াজ রিপন (২২) মারাত্মকভাবে আহত হয়। দুর্ঘটনার পরপর তাকে স্থানীয় মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীস্টান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবক মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
অন্যদিকে এদিন বিকালে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া ঢালা নামক স্থানে যাত্রীবাহী মিতালী পরিবহনের বাস চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী অপর যুবক শারিক হোসেন (২২) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। রিপন ক´বাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনছুর আলম প্রকাশ বলি মনছুরের ছেলে।
শ্যামলী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংর্ঘষে নিহতরা হলেন মাইক্রোবাসের চালক কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর খুনিয়া পালং এলাকার সামশুল আলম চৌকিদারের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩০), উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাতিরমোড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে আলী আকবর (১৮), একই এলাকার মীর আহমদের ছেলে সাহাবউদ্দিন (১৮) ও মোহাম্মদ গফুর মিয়ার ছেলে হারুনুর রশিদ (১৮)।
মাইক্রোবাসের আহত যাত্রীরা হলেন জামাল উদ্দিনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩০), আলী আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম (১৮), অহিদুল আলমের ছেলে গফুর আলম (২৫), উলা মিয়ার ছেলে নুরুল হোসেন (১৮) ও জাকের হোসেন (২৭)। আহত সকলে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাতির মোড়া পাড়ার বাসিন্দা ।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার থেকে দুইটি নোহা (মাইক্রোবাস) যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্যোশে রওনা দেয়। তন্মধ্যে একটি মাইক্রোবান বান্দরবানে পিকনিকে যাচ্ছিল এবং অপরটি যাচ্ছিল চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে।
সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে দুটি মাইক্রোবাস মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইছাছড়ি এলাকা অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেঁেড় আসা কক্সবাজারমুখি শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ওইসময় ঘটনাস্থলে চালকসহ তিনজন ও পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো জন নিহত হন।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের আইসি নুরে আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। স্বজন উপস্থিত হলে আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি তিনটি জব্দ করা হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: