ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে সামাজিক বনায়ন দখলের ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজার প্রতিনিধি, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বসতি নির্মাণ করে ভূমি দখলের চেষ্টাকালে দখলবাজদের সশস্ত্র হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাসহ চার জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার ২ দিন পর চকরিয়া থানায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্থানীয় মৃত হাজী ইউছুপ আলীর পুত্র মো: আয়াজ বাদী হয়ে শনিবার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৯৪৩/৩-৩-২০১৮ইং। এতে আসামী করা হয়েছে হামলায় অভিযুক্ত বর্ণিত ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়ার মৃত ছাবের আহমদের পুত্র ফরিদ ডাকাত, তার ভাই রহমত উল্লাহ, বোন জামাতা কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী নাইক্ষংদিয়া গ্রামের আবু শামার পুত্র মোকতার আহমদ, ফরিদের ভাই শাহজান, শাহজালাল, ফুলছড়ি কাটালিয়া পাহাড়ের মহিউদ্দীনের পুত্র রুবেল, ফরিদের পুত্র আবদুল গফুর প্রকাশ রুবেল, আবদুল মালেক, আবদুল্লাহ, ও রুবেলসহ অরো অঙাতনামা ৭/৮ জন।

উল্লেখ্য: গত বৃহস্পতিবার খুটাখালীর দক্ষিণপূর্ব নয়াপাড়ায় ভোর রাত দেড়টার দিকে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বসতি নির্মাণ করে ভূমি দখলের সশস্ত্র হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।

হামলায় ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মৃত আলহাজ্ব ইউসুফ আলীর ৪ ছেলে যথাক্রমে মো. সেলিম (৫২), মো. আয়াজ (৪৭), সাইফুল ইসলাম (৪১) ও রফিকুল ইসলাম (৩৯) গুরুত্বর আহত হয়। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ ভাইয়ের মধ্যে মো: আয়াজের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শনিবার বিকেলে তাকে চমেকে রেফার করা হয়েছে।

হামলায় গুরুত্বর আহত মো: আয়াজ বলেন, সরকার ২০০৪ সালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি বনবিটের আওতায় আমার ভাই রফিক ও বোন শাহানা বেগমকে এক হেক্টর করে সামজিক বনায়ন বরাদ্দ দেয়। এই বনায়নের জমি জবর দখলে চেষ্টা করে আসছিল ওই এলাকার ফরিদুল আলম ও তার আত্মিয়রা। ইতিপূর্বে ওই বনায়নের জমিতে ফরিদরা একটি ঘর নির্মাণ করলে আমরা বনবিভাগসহ জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করি। এনিয়ে বিচারও চলছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে আরো একটি ঘর তৈরীর চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিতে যাই। ওই সময় হাতুড়ি ও লোহার রড়সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে আমরা ৪ ভাই গুরুতর আহত -জখম হয়।

আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের সাথে আমাদের কোন পূর্বশত্রুতা নেই। মূলত আমাদের নামীয় সামাজিক বনায়নের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে তারা শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে দখলের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে বাধা দেয়া হলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এঘটনায় চকরিয়া থানায় ১০জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি ।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: