ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের ৬ থানায় ঘুরে-ফিরে তারাই ওসি: তাদের বদলি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

পুলিশ বাহিনীর একশ্রেণীর পরিদর্শকের কক্সবাজার প্রীতি বেশ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। ঘুরেফিরে কক্সবাজার জেলার থানা গুলোতে থাকতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ পরিদর্শক। বিতর্কিত বদলি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কক্সবাজার জেলা পুলিশ থেকে অন্যত্র বদলিতে অনিহা প্রকট আকার ধারণ করায় ইয়াবা পাচার বন্ধসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জেলাজুড়ে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবার আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
এমনকি জেলার আট থানার মধ্যে ছয় থানার ওসি বিভিন্ন সময়ে জেলার ভিতরে বেশ কয়েকবার ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন ওসি তিন থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এখনো। আবার তদন্ত থেকে ওসি হয়ে জেলার ভিতরে দায়িত্ব পালন করছেন। এই থানা থেকে ওই থানায় ওসি তদন্তের দায়িত্ব পালনও করে যাচ্ছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পলিসি মেকার কমিটির নিয়মানুযায়ী একই কর্মকর্তাকে এক থানায় একাধিকার দায়িত্ব দেয়ার বিধান নেই। দ্বিতীয় বারের মত পরিদর্শক রনজিত কুমার বড়–য়াকে টেকনাফ থানায় বদলিকে ঘিরে বিষয়টি নজর কেড়েছে সচেতন নাগরিকদের। ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বদলি হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিতকে ফের টেকনাফ থানায় দায়িত্বভার দেওয়ায় হতবাক হয়েছেন খোদ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ার ভাগিয়ে নিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চলে টাকা লেনদেনের প্রতিযোগিতা। ক্রাইম জোন, ডিপ্লোমেটিক জোন ও টুরিস্ট জোনের জন্য তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে অন্তরায় বলেও অভিমত আইনশৃঙ্খলা বিশ্লেষকদের। তারা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক চোরাচালানসহ আদম পাচারের মত স্পর্শকাতর ইস্যু যেখানে সারাবছরই লেগে থাকে। সেখানে তা বন্ধের পরিবর্তে এসব ইস্যুকে পুঁজি করে ফায়দা লুটতে চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। আর এরমধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে জেলা পুলিশের সেবাবান্ধব কর্মকান্ড । ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সামলাতে গত ছয়মাস ধরে হিমশিম খাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে বিতর্কিত পুলিশ কর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ থানায় বদলি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
সচেতন মহলের দাবি, টাকার বিনিময়ে কক্সবাজারের প্রতিটি থানার ওসির চেয়ার বেচাকেনা অব্যাহত থাকায় নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া টাকার দৌড়ে মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তারা ছিটকে পড়ায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা হারাচ্ছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
সচেতন মহলের বক্তব্য, একবার কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কক্সবাজার প্রবেশ করলে তিনি জেলা ছাড়তে নারাজ। একই এলাকায় দীর্ঘদিন চাকুরির সুবাদে নানা অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ কর্মকর্তারা। তাই কক্সবাজারের মানুষ কাঙ্খিত পুলিশি সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব নিয়ে টেকনাফ থানায় যোগ দিয়েছেন ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া। একই থানায় দুই মেয়াদে একজন ওসির দায়িত্ব পাওয়া পুরো দেশে অনেকটা নজিরবিহীন। এছাড়াও তিনি ইতোমধ্যে জেলার মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলার ইয়াবা মাফিয়াদের সাথে তার গোপন সুসম্পর্ক থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো। তাছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন নুরজাহান আক্তার জুলি নামের বিচারপ্রার্থী এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে ওসি রনজিতের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। ২০১৭ সালের ৪ জুন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার পেলেও আটমাসের মাথায় তাকে বদলি করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। যা নিয়েও জেলাজুড়ে নানা বির্তক সৃষ্টি হয়।
এ অনুসন্ধানে কক্সবাজারে কর্মরত আরো কিছু পুলিশ কর্মকর্তার কক্সবাজার প্রীতির তথ্য উঠে এসেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান। তিনি জেলার পেকুয়া ও রামু থানায় একই দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে রয়েছেন টেকনাফ থানায়। ছয় লাখ ইয়াবা গায়েবসহ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কক্সবাজার সদর থানার বর্তমান ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম জেলার টেকনাফসহ বিভিন্ন থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে পরিদর্শক পদোন্নতি পেয়ে তিনি ফের কক্সবাজার আসেন। সদর থানার আগে তিনি চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
চকরিয়া থানার বর্তমান ওসি বখতিয়ার চৌধুরী জেলার রামু ও কক্সবাজার সদর থানায় দীর্ঘদিন ওসি (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে উপ-পরিদর্শক হিসেবে জেলার প্রায় সকল থানায় কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, সেসময় জেলার প্রায় প্রত্যেক থানার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন ওসি বখতিয়ার। দেশের আলোচিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সেই ৯৫ ওসির তালিকায় নাম রয়েছে বখতিয়ারের।
কুতুবদিয়া থানার বর্তমান ওসি দিদারুল ফেরদাউস জেলার টেকনাফ, রামু ও মহেশখালীতে ওসি (তদন্ত) হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। শান্তিরক্ষায় দুটি মিশন শেষে তিনি আবারো কক্সবাজার আসেন।
পেকুয়া থানার বর্তমান ওসি জহিরুল ইসলাম খান জেলার উখিয়া, কুতুবদিয়া ও চকরিয়ায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দেশের বিএনপিপন্থী ৯৫ ওসির তালিকায় তার নাম রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।
মহেশখালী থানায় ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি যোগদান করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এর আগে তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহেশখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফেরদৌস বাহিনীকে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে। সে সময় তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। সন্ত্রাসীবাহিনী থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মহেশখালীর হেতালিয়া প্রজেক্টের লবণচাষি মো. আব্দুস সাত্তারকে ধরে পাহাড়ে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও পাচলাইশ থানায় ওসির দায়িত্ব পালনকালে নিরীহ মানুষ ও শিল্পপতিদের হয়রানির অভিযোগে প্রত্যাহার ও স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া নগরীর বায়েজিদ থানায় ওসি থাকাকালীন একটি বৈধ তেলবাহী লরি আটকে ব্যবসায়ীকে হয়রানি ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন ওসি প্রদীপ। এ অভিযোগে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। যা মিড়িয়ায় তেলকা- শিরোনামে ব্যাপক প্রচার পায়। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ‘সাময়িক বরখাস্ত’ ছিলেন ওসি প্রদীপ।
কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও ওয়ান হিসেবে বর্তমানে কর্মরত প্রভাষ চন্দ্র ধর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রামু ও চকরিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে দুই থানায় তিনি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেন। তাছাড়া হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির বর্তমান ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জেলার হারবাং ও মাতারবাড়ীসহ বিভিন্ন ফাঁড়ি ঘুরে কক্সবাজারের রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়, অপরাধীদের সাথে সখ্যতাসহ কর্মরত স্থানে প্রাসাদ তুল্য বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে রয়েছেন বাবুল চন্দ্র বণিক। এর আগে তিনি মহেশখালী থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মহেশখালী থানা থেকে তিনি কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগে এখন।
রামু থানার বর্তমান ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ২০১২ সালে উপ-পরিদর্শক হিসেবে একই থানায় কর্মরত ছিলেন। ঘুরেফিরে তিনি একই থানায় ফের এসেছেন।
রামু থানার বর্তমান ওসি এ.কে.এম লিয়াকত আলীর নামও রয়েছে সেই ৯৫ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকায়। তিনিও ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির সহিংসতায় পরোক্ষ সহায়তা এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে। সেসময় তাকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগ। বর্তমান কর্মস্থলে সেবাপ্রার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে ওসি লিয়াকতের বিরুদ্ধে।
উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের কক্সবাজার জেলায় নতুন হলেও বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেশের ৯৫ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকায় নাম রয়েছে তারও। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। উখিয়ার আগে আবুল খায়ের ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কক্সবাজার জেলার পাশে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায়।
একই সাথে জেলায় নতুন হলেও উখিয়া থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত মো. মকছুদ আলম দায়িত্ব পালনে ইতিমধ্যে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় সাংসদ তাকে প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন সম্প্রতি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার বর্তমান ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও ওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাতকানিয়ায় চাঞ্চল্যকর আনোয়ারা হত্যা মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলাম মানিককে পাশে বসিয়ে সভা করে সেসময় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন ওসি ফরিদ। অভিযোগ রয়েছে, সাতকানিয়া জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এবং লোকজন ব্যবসায়ী, প্রবাসী সর্বোপরি ধনাঢ্য হওয়ার কারণে আটক বাণিজ্যটা বেশ রমরমা করে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে সাতকানিয়া থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল ওসি ফরিদকে। তাছাড়া চন্দনাইশে কর্মরত থাকাকালেও লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল ওসি ফরিদের বিরুদ্ধে।
তাই আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাবনা ও প্রতিকূলময় এই কক্সবাজার জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব বিতর্কিত ওসিরা কতটুকু সফল হবেন তা নিয়ে সন্দিহান সচেতন নাগরিকরা।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ও টাকার বিনিময়ে রদবদলের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, আসলে বলতে গেলে কি; বদলির বিষয়ত আমার নয়। সব উপর থেকে হয়। একজন ওসি কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একাধিকবার দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন অপরাধীদের সাথে তাদের সখ্যতা সৃষ্টির ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো সুষ্ঠু উত্তর দেননি এসপি ইকবাল হোসেন।
এ বিষয়ে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিটে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, ‘আপনার কথা ভালো করে শুনতে হবে আমার। পরে ফোন দিচ্ছি’। পূর্বকোণ

পাঠকের মতামত: