ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

“ভবিষ্যতে কাঁকড়াও চিংড়ির বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে”

কক্সবাজারে দেশের প্রথম কাঁকড়া হ্যাচারীর নির্মানকাজ শুরু


আতিকুর রহমান মানিক :

বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেছেন, কুঁচিয়া ও কাঁকড়া এখন অন্যতম রপ্তানী পণ্য। বহির্বিশ্বে কুঁচিয়া ও কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ দুটি মৎস্যজাত পণ্য বাংলাদেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ পাল্টে দিতে পারে এবং একসময় কাঁকড়াও চিংড়ির বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশের প্রথম কাঁকড়া হ্যাচারীর ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন ও নির্মানকাজ উদ্ধোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ও কাঁকড়া কুঁচিয়া চাষ সম্প্রসারন প্রকল্পের অর্থায়নে উক্ত হ্যাচারী নির্মান করা হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় কলাতলী হ্যাচারী জোনে মৎস্য অধিদপ্তরের পিসিআর ল্যাবরেটরী প্রাঙ্গনে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাঁকড়া-কুঁচিয়া চাষ ও সম্প্রসারন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডঃ বিনয় কুমার চক্রবর্তী ও ক্রাব হ্যাচারী বিশেষজ্ঞ এমিলিয়াত কুইন্টো। বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডঃ বিনয় কুমার চক্রবর্তী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিদেশে রপ্তানীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাঁকড়া চাষ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কাঁকড়া পোনার চাহিদা মেটাতে উক্ত স্হায়িত্বশীল কাঁকড়া হ্যাচারী নির্মান করা হচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবদুল আলীম বলেন, তিন কোটি বিশ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারী উদ্যোগে এ হ্যাচারী নির্মিত হচ্ছে, এটি নির্মিত হলে প্রতি সাইকলে ৯০ হাজার পোনা উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশী-বিদেশী প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা কাঁকড়া হ্যাচারী নির্মানকাজ তত্ত্বাবধান করবেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কাঁকড়া হ্যাচারী নির্মানকাজের শুভ উদ্ধোধন ঘোষনা করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ, ১০ একর/ এগার একর চিংড়ি প্রকল্প (এডিবি)’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান, চকরিয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মৎস্য অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্হিত ছিলেন। এদিকে কাঁকড়া হ্যাচারীর ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন উপলক্ষে ৫ দিনের এক প্রশিক্ষন কর্মসূচী শুরু হয়েছে। জেলা মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া “কুঁচিয়া ও কাঁকড়া মোটাতাজাকরন” বিষয়ক উক্ত প্রশিক্ষনে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৎস্য কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন

পাঠকের মতামত: