ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পাথরের স্তুপ, বিপন্ন পরিবেশ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কতিপয় অসাধুরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পার্বত্য চট্টগ্রামের লামা-আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড় থেকে আহরিত পাথর নিয়ে এসে মজুদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ছড়া-খাল ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা থেকে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে আহরণ করা পাথরের স্তুপের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে পরিবেশ। পাথর স্তুপ করে রাখার কারণে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্টান ও এলাকার পরিবেশ দূষন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, কতিপয় কিছু ব্যবসায়ী সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অনুমতিহীন অবৈধ ভাবে রাতের আধারে পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের টিপডেপা, ইয়াংছা, বগাছড়ি, বগাচতর, নাইক্ষ্যনছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পাহাড়ী পথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার পাথর আহরণ করছে। এসব আহরণকৃত পাথর চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, বানিয়ারছড়া, মানিকপুরসহ বেশ কটি পয়েন্টে জমা করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব পাথর থেকে সরকার কোন ধরনের রাজস্ব না পাইলেও কিছু কতিপয় ব্যবসায়ীদের পকেটস্থ হচ্ছে।
patarডুলাহাজারা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বেশকিছু লোক অভিযোগ করেছে, কিছু পাথর ব্যবসায়ী সরকারের  কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতিব্যতি রেখে রাতের আধারে পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের টিপডেপা, ইয়াংছা, বগাছড়ি, বগাচতর, নাইক্ষ্যনছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পাথর আহরণ করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের লামা-আলীকদম সড়কের হাঁসের দীঘি পয়েন্ট ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রং মহল এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্টান ও গরীব লোকজনের বাড়ির পাশে স্তুপ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এসব ব্যবসায়ীরা ওই এলাকায় মিশিং দিয়ে পাথর সাইজ এবং লোড-আনলোড করার কারণে ধোলাবালি ও মিশিংয়ের আওয়াজে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
এসব এলাকায় আসা পাথর গুলোর কোন ধরনের পারমিট কিংবা টিপি (চলাচল পাস )না থাকার কারণে আহরণ করা পাথর থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে। এর পাশা পাশি অবৈধ ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে দিন দিন।
রং মহল এলাকার আবদুল কাদের, নুরুল আলম, শাহাজাহানসহ বেশ কজন অভিযোগ করেছেন, এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও খাদেম মাষ্টারের বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় পাথরের স্তুপ রাখার কারণে রাস্তাঘাট নষ্টের পাশা পাশি স্কুল, মাদ্রাসা, এতিম খানা ও এলাকার বসবাসরত লোকজনের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে আসছে। সচেতন মহল ওই এলাকায় দ্রুত প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা না করলে ওই এলাকার মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগব্যাধিসহ মহামারি আকারে রূপ নিতে পারে। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: