ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কারাগারে খালেদা, বিএনপির দুই চ্যালেঞ্জ

নিউজ ডেস্ক ::

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার পর দলটির সামনে এখন দুই চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

চ্যালেঞ্জ দুটি হলো- খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা ও আন্দোলন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মওদুদ।

মওদুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার যে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্ট করেছে, এ জন্য তারাই দায়ী। এর মাধ্যমে সমঝোতার সমস্ত দ্বার সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
এবার আমরা প্রমাণ করব একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেও একটি সরকারকে বাধ্য করা যায়।

‌‘আগামী নির্বাচন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দিতে হবে নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য। দেশের জনগণ মনে করে, কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, এটা হতে পারে না। কারণ সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সরকারের যে ডিজাইন—তারা এক দলীয়ভাবে নির্বাচন করবে। এজন্য খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেওয়া, আমাদের সকলের বিরুদ্ধে ৭৫ হাজার মামলায় ১৮ লাখকে আসামি করা হয়েছে। সরকার বুঝতে পারছে না দেশের মানুষের মনের অবস্থা। এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার আওয়ামী লীগের খবর আছে।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘রায় হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এখন পর্যন্ত রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। এটা ছলচাতুরি করা। এর অর্থই হলো— খালেদা জিয়াকে জেলখানায় যতদিন রাখা যায়, যদি একদিন বেশি রাখা যায়। এই প্রতিহিংসামূলক মনোভাব বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তাকে আরও কমিয়ে দিয়েছে।’

মওদুদ বলেন, ‘আগামী অল্প কিছু দিনের মধ্যে রায়ের নকল পাব। যতদ্রুত সম্ভব আপিল ফাইল করব। আপিলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন চাইব। আমরা বিশ্বাস করি, পাঁচ বছরের জন্য জামিন এমনিতেই অন্তত, লিবারেলি কোর্ট দেখে। আর তিন বছরের ক্ষেত্রে এমনিতেই হয়ে যাওয়া উচিত। পাঁচ বছরের ব্যাপারে এমন কিছু না।’

সভায় সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর ব্যাপারির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া ও শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: