অনলাইন ডেস্ক ::
বেশ-ভুষায় তাকে দেখে আঁচ করা যাবে না প্রতারণাই তার নেশা এবং পেশা। কিন্তু অবলীলায় পুরুষদের প্রতারিত করে আর্থিক ফায়দা হাসিলে পারদর্শী এই নারী। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লো পুলিশের হাতে।
নাম তার রওশন আক্তার। চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন। আর এরপর প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ জমিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে। প্রতারণার জাল ফাঁদে। এ ধরনের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নগরীর বেপারিপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে রওশনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারণার শিকার ব্যক্তি বাদি হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হালিশহরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে
(এমডি) প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ–কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লা জানান, হালিশহরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরির জন্য আবেদনের পর এমডির সঙ্গে ফেসবুকে ও মোবাইলে যোগাযোগ করতে থাকে। বিশ্বাস স্থাপনের পর পরিবারের অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার কথা বলে গত ২৩ জানুয়ারি বেপারীপাড়ার বাসায় নিয়ে যায়। তখন বাসায় প্রতারক চক্রের কয়েকজন পুরুষ সদস্য মিলে এমডিকে জিম্মি করে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর বিভিন্ন ভঙ্গিতে রওশনের সঙ্গে তার অশ্লীল ছবি তোলে। সেই ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা আদায় করে। পরে আরো এক লাখ টাকা দেয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়।
পাঠকের মতামত: