ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রামু ও সদর ইউএনও’র হস্তক্ষেপে শত শত একর বোরো আবাদ রক্ষা ॥ চাষিদের মুখে হাসি

সোয়েব সাঈদ, রামু ::
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স এর হস্তক্ষেপে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে হাজারো কৃষকের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার বাঁকখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. পরিচালিত রাবার ড্যামের পানি বৃদ্ধি করার কারনে দক্ষিণ মিঠাছড়ির ১০টিরও বেশী গ্রামের শত শত এক বোরো ক্ষেত প্লাবিত হয়ে পড়ে।

বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাটির মাথা, চাইল্যাতলী, বারৈয়াপাড়া এলাকায় রাবার ড্যামের পানিতে প্লাবিত বোরো খেত এবং বাংলাবাজারে বাঁকখালী নদীতে নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স।

পরিদর্শনকালে রামু ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসব এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাবার ড্যাম পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কৃষকদের সাথে কথা বলেন। পরে সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাবার ড্যামের পানি কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সিদ্ধান্তক্রমে পরিদর্শনের সাথে সাথে রাবার ড্যামের পানি কমানোর কাজ শুরু হয়।

এনিয়ে উৎফুল্ল কৃষকরা জানান, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স এবং সাংবাদিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে মঙ্গলবার পরিদর্শনের পর থেকেই পানি কমতে শুরু করে। বুধবার বিকালের মধ্যে প্লাবিত বোরো খেত থেকে পানি নেমে গেছে। এজন্য কৃষকরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে কৃষকদের কল্যাণের জন্য। ড্যামের পানি থাকবে কৃষি কাজের জন্য সহনশীল পর্যায়ে। কিন্তু আকষ্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি করায় অনেক স্থানে বোরো খেত ডুবে গিয়েছিলো। রাবার ড্যাম কমিটির সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

#############
রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে কৃষকের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর
রামু প্রতিনিধি ::
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতি উপর হামলাকারিরা এবার ওই কৃষকের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে। কেটে সাবাড় করেছে সুপারী গাছ, শষ্য ও বোরো খেতের বিপুল ফসল। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে দক্ষিণ মিঠাছড়ি পূর্ব উমখালী মোক্তার বাপের পাড়া এলাকার মৃত আমির হামজার ছেলে কৃষক রশিদ আহমদের বসত বাড়ি ও কৃষি জমিতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রশিদ আহমদ জানান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি মধ্যম উমখালী এলাকার আনোয়ারুল হকের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমান উল্লাহ ও পানেরছড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে জাফর আলম ও পূর্ব উমখালী এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের তার ৪ মেয়ে ও ছেলে মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মঙ্গলবার ভোরে তার বসত বাড়ি, গোয়াল ঘর এবং ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে। পরে হামলাকারিরা একই এলাকায় তাদের ভিটি জমিতে রোপনকৃত সুপারী গাছ, কৃষি জমিতে রোপনকৃত মুলা ও বোরো খেত কেটে এবং মাটিতে পূঁতে বিনষ্ট করে দেয়। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রশিদ আহমদ আরো জানান, এরআগে গত রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় এসব সন্ত্রাসীরা তাকে এবং তার স্ত্রী ছুমদা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাটি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছিলো। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এনিয়ে তারা থানায় লিখিত এজাহারও দিয়েছেন। এরপরও স্থানীয় কতিপয় দালাল-বখাটে লোকজনের ইন্ধনে তারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
রশিদ আহমদের ছেলে মো. আমির হোছাইন জানান, একের পর এক হামলা, ভাংচুর এবং অব্যাহত হুমকীর কারনে বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্য তিনি জানমানের নিরাপত্তা ও হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: