ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫০ কি.মি কমিয়ে আনতে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার :    চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ির সাথে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনতে ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম বিকল্প সড়ক’ (আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া হয়ে ঈদমনি-চৌফলদন্ডী’) প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় নুতন করে শুরু করেছে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়। চকরিয়ার ঈদমনি হতে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন করেই এই বিকল্প সড়কটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিদ্যমান কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আরাকান মহাসড়কের উপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক সংস্থার কর্মকর্তারা সোমবার থেকে কক্সবাজারে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে এ প্রকল্পটি ‘ফাইলবন্দী’ থাকার পর গত মাসের ১৮ তারিখ দ্বিতীয় বারের মতো পরামর্শক সংস্থার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে মন্ত্রণালয়। এরআগের দিন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরই প্রেক্ষিতে পরামর্শক সংস্থার কাজের মেয়াদ আরো ৪ মাস বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনটি পৃথক প্রস্তাবনা জমা দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নিযুক্ত পরামর্শক সংস্থা ডিপিএম লিমিটেডের কর্মকর্তারা সোমবার থেকে কক্সবাজারে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহজাহান খাঁনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের পরামর্শক দলের সদস্যরা সোমবার চকরিয়ার ঈদমনি-বদরখালীসহ সড়কের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরদিন গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী অংশ পরিদর্শন করেন বলে জানান কক্সবাজার সড়ক জনপদ ও বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া।

তিনি জানান- প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নিযুক্ত পরামর্শক সংস্থা ৪ মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করার পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

এ সড়কটির প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব এমএ আজিজ মাহবুব জানান, আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী এ কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে বিগত ২০১০ সালের ৭ জুন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীর কাছে একটি আধা সরকারী পত্র প্রেরণ করেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্ণফূলী তৃতীয় সেতু উদ্বোধনের দিন এ সেতু প্রকল্পের উদ্বৃত্ত ২১০ কোটি টাকায় এ মহা সড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত সড়কের বিভিন্ন অংশের উন্নয়ন হওয়ায় বর্তমানে চকরিয়ার ঈদমনি হতে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন করেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

পাঠকের মতামত: