ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইলমা’র সহযোগিতায় চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্টিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: “দায়িত্বশীল নাগরিক হব, বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করব” এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য হিসেবে রেখে চকরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০ জানুয়ারি তরুণ আলো প্রকল্প ইলমা, চকরিয়ার সহযোগিতায় বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, অভিভাবক সমাবেশ, শ্রেষ্ঠ ‘মা’র সম্মাননা স্বারক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বি.এ (অনার্স) এম.এ । এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ আহমদ, সদস্য নাজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম,জামাল উদ্দিন জয়নাল, ওয়াহেদ উদ্দিন, তরুণ আলোর কর্মকর্তা আদিলুর রহমান, জাহিদুর রহমান,হুমায়ুন কবির ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্ধ প্রমুখ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদুল হকের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক আবদুল মালেক ও নরেশ রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: ফোরকান। প্রায় শতাধিক অভিভাবক ও সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে দক্ষ নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে পারলে আমরা আগামীর বাংলাদেশে তরুণদের আলোকিত মানুষ হিসেবে দেখতে পাব।  আর এই তরুণরাই আলোকিত মানুষ হয়ে সোনার বাংলাদেশ উপহার দিবে।  তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে কিছু তরুণ পথভ্রষ্ট হয়ে উগ্রবাদ ও সহিংসতার জন্ম দেয়।  তাই প্রত্যেক মা বাবাকে তার সন্তানের প্রতি আরো বেশি যতœশীল ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, তরুণ আলোর এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্ক সুনিবিড় হবে যা শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যানকর। সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদুল হক অভিভাবকের উদ্দ্যেশে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষকে সি সি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান করতেছি। এখন আপনাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য বিদ্যালয়ে আসতে হবে ও ছেলেমেয়েরা ভূল পথে পা বাড়াচ্ছে কিনা সেই ব্যাপারে খোজ খবর নিতে হবে এবং তা নাহলে সন্তানদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করতে পারবেন না। এর আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান ও পল্লীগীতি/লোকগীতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সবশেষে বার্ষিক পরীক্ষায় সবোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের জন্য তাদের মা’দের অনুপ্রেরণামূলক সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।

পাঠকের মতামত: