ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবীতে অভিভাবকদের আন্দোলন!

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

বিদ্যালয়ের তহবিলের নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ তুলে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান আব্দুল কাদেরকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবক মহল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে অভিভাবকদের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে আসেন তদন্ত কর্মকর্তা লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ রাশেদুল ইসলাম। ওইসময় তদন্ত কর্মকর্তার সামনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের এর বিরুদ্ধে এডহক কমিটির যোগসাজসে কোন ধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে গোপনে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।

তদন্ত অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত সকলের মতামত নিয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পালনের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। একই সাথে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে বিদ্যালয় পরিচালনায় কোন ধরণের কাগজ পত্রে স্বাক্ষর বা কাজ করলে তা অবৈধ হবে বলে ঘোষণা দেন।

তদন্ত অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হোছাইন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মামুন মেম্বার, সহ-সভাপতি এনাম কুতুবী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুক, যুবলীগ নেতা মমতাজ উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের এর চাকুরীর মেয়াদ ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও তিনি বিদ্যালয় থেকে অর্পিত দায়ীত্ব হস্তান্তর না করে চাকুরী বহাল রাখতে অবৈধ পথে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই চেষ্টায় তিনি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলামের সাথে আতাঁত করে সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন এনে দিয়েছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, আমি এখন ছুটিতে রয়েছি, তাই বর্তমানে বিদ্যালয়ে কি হচ্ছে তা আমার জানা নেই। ##

পাঠকের মতামত: