ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

এম রায়হান চৌধুরী, চকরিয় ::

চকরিয়া উপজেলায় কয়েকদফা বন্যা পরবর্তী ভেঙ্গে পড়া কৃষিখাত ফের কয়েকমাসের ব্যবধানে ঘুরে দাঁিড়য়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকির মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে শীতকালীন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতে আশানুরুপ ফসল দেখে সফলতার হাসি ফুটেছে কৃষক পরিবার গুলোতে। কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকদের ধারনা, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবার উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার শীতকালীন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় এখনই বাজারে উঠছে শুরু করেছে শীতকালীন নানাজাতের ফসল।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ বলেন, চলতিবছরের জুন-জুলাই মাসে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট কয়েকদফা বন্যার কারনে উপজেলার কৃষিখাত একেবারে ভেঙ্গে পড়ে। চরম ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় অন্তত ২০হাজার কৃষক। এ অবস্থার উত্তোরণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদেরকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত কয়েকমাসের ব্যবধানে উপজেলার কৃষিখাতকে ফের চাঙ্গা করে তোলা হয়। তিনি বলেন, কৃষকদেরকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে শীতকালীন সবজি চাষে উৎসাহ দেয়া হয়। এরপর কৃষকরা চাষাবাদে নেমে এখন রীতিমত সবজি চাষে বাম্পান ফলনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবার উপজেলার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে কয়েক কোটি টাকার ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, বর্তমানে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, বেগুন, টমোটো, আলু, সিম, কাঁকরুল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, বরবটি, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া সহ নানাজাতের শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে একাধিক স্থানে শীতকালীন নতুন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি বর্গাচাষী সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন পুতু বলেন, বন্যার কারনে উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনেকটা দেউলিয়া হয়েছেন। কিন্তু শীতকালীন সবজি চাষে বাম্পার ফলনের কারনে কিছুটা হলেও কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে এমন ধারনা করা হচ্ছে। #

পাঠকের মতামত: